প্রতিবন্ধী শিল্পীর পাশে পরিত্রাতা বিডিও

Must read

অনুপম সাহা, বক্সিরহাট : হাতের জোর নেই। অনটনের সংসার। লেখাপড়াও করতে পারেননি বেশি। সংসার টানতে বিকলাঙ্গ হাতে চলত সাইনবোর্ড লেখার কাজ। কিন্তু ভাগ্যের কী নির্মম পরিহাস ! ডিজিটালের যুগে হাতের লেখা সাইনবোর্ডের কাজ বন্ধ হয়ে যায়। কোনওক্রমে বিয়ে দেন মেয়ের। ছেলের লেখাপড়া, দু’বেলা খাবারের জোগাড় এই চিন্তায় যখন চোখের ঘুম গিয়েছে অসম-বাংলা সীমান্তের ভানুকুমারী বাসিন্দা জগদীশ দেবনাথের তখনই পরিত্রাতা হয়ে পাশে দাঁড়ালেন তুফানগঞ্জের বিডিও (BDO Tufangunj) প্রসেনজিৎ কুণ্ডু। তাঁর ব্লকের বাসিন্দার দুরবস্থার কথা জানতে পেরে স্বয়ং পৌঁছে যান জগদীশের বাড়িতে। কথা বলেন তাঁদের সঙ্গে। সরকারের সমস্তরকম প্রকল্পগুলি বোঝান তাঁদের। সুবিধা পেতে গেলে কী করতে হবে তা-ও বলে দেন।

আরও পড়ুন – ৭ই ফেব্রুয়ারী থেকে শুরু ‘পাড়ায় শিক্ষালয়’ প্রকল্প 

একচিলতে বাড়ির দাওয়ায় জগদীশের সঙ্গে বসে বিডিও (BDO Tufangunj) শোনেন তাঁর সুবিধা-অসুবিধার কথা। পকেট থেকে পেন এবং ডায়েরি বের করে নোট করেন সেগুলি। জগদীশের ছেলে তখন পাশে দাঁড়িয়ে। তাকে ডেকে বিডিও নাম জিজ্ঞেস করেন। জানতে চান সে কী করতে চায় ? ছেলেটির চোখে লেখাপড়া করার স্বপ্ন। বিডিও আশ্বাস দেন সমস্তরকম সহযোগিতা করবেন। পাশে থাকবেন।

ছেলেটির হাতে তুলে দেন বই-খাতা, পেন্সিল, লেখাপড়ার সরঞ্জাম। আর পরিবারের হাতে দেন খাদ্যসামগ্রী, চালডাল। জগদীশকে বলেন, ‘‘চিন্তা করবেন না, পাশে আছি।” কথা বলা শেষ করে হাত নেড়ে যখন বেরিয়ে আসছেন বিডিও, জগদীশের চোখ তখন ছল ছল করছে। আবেগে ধরা গলায় তিনি বলেন, ‘‘আমার কথা জানতে পেরে বিডিও ছুটে এসেছিলেন বাড়িতে। পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন। ছেলের মাথায় হাত বুলিয়ে বলেছেন, লেখাপড়া করো, বড় হও। অনেকটা ভরসা পেলাম, মনের জোর পেলাম।”

Latest article