শীত যেমন কোমল তেমনই কঠোরও। আরামের পাশাপাশি শীতটান, শুষ্কতা, রুক্ষতা, ত্বক চুল বেহাল, ঠান্ডা লাগা, গলা ব্যথা, জ্বর, সর্দিকাশিতে নাজেহাল। সিজন চেঞ্জে সুস্থ থাকতে ডাক্তারের কাছে ছোটার আগে ঘরোয়া উপায়গুলো একবার পরখ করে নিলে ক্ষতি কী। ঋতু পরিবর্তনে কীভাবে থাকবেন সুস্থ এবং সতেজ, লিখছেন শর্মিষ্ঠা ঘোষ চক্রবর্তী
ত্বকের পরিবর্তন
ঋতু পরিবর্তনের সময় আবহাওয়া, তাপমাত্রা, বাতাসে জলীয়বাষ্প ভারসাম্যহীন থাকে। ত্বকের সংকোচন এবং প্রসারণের ফলে ত্বকে খড়ি ফোটা, চুলকানো ভাব, শুষ্কতা দেখা দিতে শুরু করে। মৃতকোষ খুব বেশি করে উঠতে শুরু করে এবং ত্বকের উপরিভাগে জমে যায়। ওর মধ্যে ধুলো-ময়লা পড়ে ধীরে ধীরে ত্বক আরও ড্রাই, কালচে, ডাল হতে থাকে। ত্বক নিজেই কোষগুলিকে পুনরুজ্জীবিত করে এই সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা করলেও পুরোটা সম্ভব হয় না। তাই সিজন চেঞ্জের সময় দরকার অতিরিক্ত যত্নের।
আরও পড়ুন-আন্দোলনের আ-জানে না এই বিজেপি
প্রথমেই জরুরি ত্বক খুব ভাল করে পরিষ্কার করা। অর্থাৎ ক্লেনজিং। যাতে রোমকূপের মুখে মৃতকোষ বা ধুলো-ময়লা জমে না যায়। সাবান নয়, অবশ্যই ত্বকের উপযুক্ত ফেসওয়াশ ব্যবহার করুন। যাঁদের ব্রণর সমস্যা আছে এই সময় তা আরও বাড়ে। তাঁরা সপ্তাহে একদিন কী দু’দিন সাবান দিয়ে মুখ ধোবেন।
আরও পড়ুন-মুখ্যমন্ত্রীর হাতেই অর্থ দফতর
এক্সফলিয়েশন হল পরবর্তী ধাপ। সফট গ্র্যানিউনলস দেওয়া কোনও স্ক্রাবার ব্যবহার করতে হবে। এতে রোমকূপের ময়লা গোড়া থেকে খুব ভাল পরিষ্কার হবে। উজ্জ্বলতা বাড়বে। খুব ড্রাই স্কিন হলে একদিন অন্তর স্ক্রাবিং করুন। চালের গুঁড়ো, মধু দু’ তিন ফোঁটা, বেসন দিয়ে বাড়িতেই স্ক্রাবার বানিয়ে মাখতে পারেন। স্ক্রাবিংয়ের পর টোনার ব্যবহার করুন। কমলালেবুর রস খুব ভাল টোনিং-এর কাজ করে।
আরও পড়ুন-নন্দীগ্রাম দিবস উপলক্ষে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শ্রদ্ধাঞ্জলি
এখন থেকে দরকার একটু ভারী ময়েশ্চারাইজার। একমাত্র ময়েশ্চারাইজারই আপনার ত্বকের আর্দ্রতাকে ধরে রাখবে। যত বেশি আর্দ্রতা, তত বেশি ত্বক সুস্থ। সেরামাইড, হাইলুরনিক অ্যাসিড এমন সব উপাদানযুক্ত ময়েশ্চারাইজার বেছে নিন।
ঠোঁট আর চোখের চারপাশ সবচেয়ে সংবেদনশীল স্হান ত্বকের। শীতের শুরু থেকে আলাদা করে যত্ন নিন ঠোঁট তার চারপাশের ত্বক এবং চোখের। আন্ডার আই ক্রিম এবং লিপবাম বা ভেষজ কোনও লিপ ক্রিম রাতে শোয়ার আগে নিয়মিত ব্যবহার করুন।
ঋতু পরিবর্তনের প্রভাব সবার আগে পড়ে হাতে, পায়ে। ড্রাই, ডাল হাত-পায়ের ত্বকে তাই বার্ধক্যও আসে সবার আগে। নিয়মিত অলিভ অয়েল ম্যাসাজ করুন। ভাল কোনও বডি অয়েলও হাত-পায়ের ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করবে। গরম জলে সামান্য মধু দিয়ে ওর মধ্যে পা ডুবিয়ে রাখুন। এতে পায়ের ত্বক উজ্জ্বল, সতেজ থাকবে। হাতে আলাদা ময়েশ্চারাইজার ম্যাসাজ করুন। হ্যান্ড অ্যান্ড ফুট ক্রিম ব্যবহার করতে পারেন। দুধ আর বাসি রুটি চটকে পেস্ট করে সারা গায়ে মাখুন। এটা খুব ভাল ক্লেনজার এবং শীতে ত্বক দারুণ উজ্জ্বল সুন্দর করে রাখবে এই পেস্ট।
এজিং স্কিনের শীতে সব সময় দরকার স্পেশাল কেয়ার । এজিং স্কিনের জন্য নির্দিষ্ট প্রোডাক্ট অর্থাৎ অ্যান্টি এজিং ক্রিম, টোনার, ফেস সিরাম ইত্যাদি ব্যবহার করুন। কমলালেবু খুব ভাল বয়স্ক ত্বকের জন্য। অরেঞ্জ পিল পাউডার বা কমলালেবুর খোসা বেটে মধু, বেসন দিয়ে প্যাক হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। সপ্তাহের তিনদিন প্যাক লাগানো যেতে পারে।
স্বাস্থ্যের পরিবর্তন
সিজন চেঞ্জ মানেই সর্দিকাশি, হাঁচি, জ্বর, গলাব্যথা, গলায় খুসখুসে ভাব, টাগরা জ্বালা করা, দুর্বলতা। সব সময় ডাক্তারের কাছে ছোটা কি সম্ভব।
করোনাকালে প্রত্যেকেই যদি আমরা একটু গরম জলের ভাপ নিই দিনে এক দু’বার তাহলে অনেক সমস্যার সমাধান হয়ে যায়। মাথায় ঠান্ডা-গরমে ধরে গেছে মনে হলে লবঙ্গ, তুলসী পাতা জলে ফুটিয়ে সেই স্টিম ইনহেল করুন।
রোজ সকালে একটু কুসুম গরম জলে দু’ তিন ফোঁটা লেবু আর মধু দিয়ে খান। হালকা ঠান্ডা-গরম লেগেছে মনে হলে আদা, তেজপাতা, লবঙ্গ, দারচিনি, মেথি, গোলমরিচ নিয়ে একটি পাত্রে ফুটিয়ে অর্ধেক করে সেই জল খান সিপ সিপ করে একটা সপ্তাহ।
গলা খুশখুশ করলে নুন জলে গার্গল করুন দিনে দু’বার। ঠান্ডা খাবার, পানীয় এই সময় খাওয়া গেলেও এড়িয়ে চলুন। নিয়মিত একটা আমলকী সেদ্ধ ভাতপাতে খেলে শুধু সিজন চেঞ্জ নয়, সারাবছর সুস্থ থাকবেন।
ছোটদের এই ঋতু পরিবর্তনে হঠাৎ গলা খুশখুশ, ঠান্ডা লাগা ভাব হয়। জ্বরজ্বর অনুভব হয়। বাতাসে ভাইরাসের প্রভাবে এই সমস্যা হয়। চিকিৎসকের পরামর্শে অ্যান্টিঅ্যালার্জিক ট্যাবলেট ক’টা দিন খাওয়ালে এই সমস্যা কমবে। যাঁরা হোমিওপ্যাথিতে ভরসা করেন তাঁরা রাসটক্স, অ্যাকোনাইট, ডালকামরা, ব্রায়োনিয়া জাতীয় ওষুধ হাতের কাছে রাখুন। ডোজটা জেনে নিয়ে পরিবারের ছোট-বড় সকলেই উপসর্গ অনুযায়ী খেলে এই সময় ছোটখাটো শারীরিক সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।
ডায়েটে পরিবর্তন
সিজন চেঞ্জের ডায়েটে সব সময় স্যুপ রাখুন। যত স্যুপ জাতীয় খাবার খাবেন তত শরীর গরম থাকবে, ঠান্ডা লাগার প্রবণতা কমবে। খাবার জল এই সময় নিয়মিত ফুটিয়ে খেলে ঠান্ডা কম লাগবে। প্রচুর জল বা জল জাতীয় পানীয় খান।
ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার বেশি করে খান। কমলালেবু, আমলকী, জলপাই, পেয়ারা, আপেল, পালং শাক, সরষে শাক, ফুলকপি, বাঁধাকপি, গাজর, টম্যাটো, মুলো, ক্যাপসিকাম, ব্রকোলি, পেঁপে, ধনেপাতা, পুদিনাপাতা এগুলো রাখুন খাদ্য তালিকায়। এগুলোতে ভিটামিন ছাড়াও রয়েছে প্রোটিন, ক্যারোটিনয়েড, ফাইবার, বিটাক্যারোটিন, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, আয়রন ও আরও অনেক কার্যকরী উপাদান। এছাড়া মাছ, ডিম, চিকেন, ছানা, দুধ, ডাল, রাজমা, ওটস, ফ্ল্যাকসিড, দালিয়া এগুলোও রাখুন খাদ্য তালিকায়।
এই সময় ফ্রুট স্যালাড, চিকেন স্যালাড, টম্যাটো স্যালাড, পটেটো স্যালাড, আপেল স্প্রাউট স্যালাড, গ্রিন স্যালাড ইত্যাদি নানারকম স্যালাড বানিয়ে খান। একাধিকবার স্যালাড খেতে পারেন। স্যালাডের পাশাপাশি টকদই এবং মধু অবশ্যই রাখুন।
আরও পড়ুন-সাংসদ শতাব্দী এবার আইনজীবী
ঋতু পরিবর্তন নিয়ে পরামর্শ দিলেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের আমন্ত্রিত অধ্যাপক তথা জিডি হসপিটালের কনসালটেন্ট ফিজিশিয়ান ডাঃ অজয় বিশ্বাস৷ তাঁর কথায়–––
প্রকৃতিতে ঋতু বদলের সঙ্গে সঙ্গে আমাদের শরীরেও তার নানারকম প্রভাব দেখা দিতে শুরু করে। শীতের বাতাসে ভাসমান সূক্ষ্ম কণার মাত্রা যায় বেড়ে, আর তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ে হাঁপানি, শ্বাসকষ্ট এবং এলার্জির মতো রোগের উপসর্গগুলি। তাপমাত্রা কমার সঙ্গে সঙ্গে আর একটা জিনিসও ঘটে। আমাদের ত্বকের মধ্যে দিয়ে যে রক্ত চলাচল, তা আমাদের শরীরের তাপমাত্রাকে বজায় রাখতে সাহায্য করে।
যখন পরিবেশের তাপমাত্রা কমতে থাকে শরীরের তাপ ধরে রাখার জন্য, ত্বকের মধ্যে দিয়ে রক্ত চলাচল নিয়ন্ত্রিত হতে শুরু করে। একদিকে যেমন আমাদের শরীরের ত্বক শুকনো হতে থাকে, তেমনি ত্বকের মধ্যে রক্ত চলাচলের মাত্রা বদলে যাওয়ার জন্য, বাড়তে থাকে রক্তচাপ। বিশেষ করে যাঁরা উচ্চ রক্তচাপের রোগী, তাঁদের ক্ষেত্রে তাই শীতকাল মানে হার্ট অ্যাটাক সবকিছুরই বাড়তি রিস্ক। বিগত একটা বছর, মহামারীতে হারিয়ে গেছে অনেক প্রাণ।
যাঁরা কোভিড সংক্রমণ থেকে সেরে উঠেছেন তাঁদের ফুসফুসে, হৃদযন্ত্রেও অতিমারি তার ছাপ রেখে গেছে পাকাপাকি ভাবে। মানবদেহের ফুসফুস অনেকগুলো ছোট ছোট বেলুনের মতো অ্যালভিওলাই দিয়ে তৈরি, যেগুলোর পাতলা দেওয়ালের মধ্যে দিয়ে বয়ে যাওয়া রক্তের হিমোগ্লোবিনের সঙ্গে আমরা বাতাসের অক্সিজেন আদান-প্রদান করি| কোভিডের ফলে এই পাতলা দেওয়ালগুলো অনেকাংশেই দড়ি পাকিয়ে গেছে, চিকিৎসা পরিভাষায় যার নাম ‘ফাইব্রোসিস’|
যার ফলস্বরূপ অক্সিজেনের আদান-প্রদান করার ক্ষমতা অনেকাংশেই কমে গেছে অনেকেরই । একদিকে যেমন আমাদের কায়িক পরিশ্রম করার ক্ষমতা কমেছে তেমনি পাশাপাশি দৈনন্দিন কাজকর্ম করতে গিয়েও দেখা যাচ্ছে অল্প পরিশ্রমেই বুকে চাপ লাগছে অনেকেরই, কাশির দমক থামছে না, কমছে না শ্বাসকষ্ট | শীত আসা মানেই তাই এই কোভিড আক্রান্ত ফুসফুসের কষ্ট বেড়ে যাওয়া। কিন্তু কী করে বুঝব কার ফুসফুস কতটা ক্ষতিগ্রস্ত? এটার জন্য একটা খুব সহজ পরীক্ষা যা নিজেদের বাড়িতেই বা কর্মক্ষেত্রে করে দেখতে পারি।
আমাদের ফুসফুসের কার্যকারিতা কোভিড, হাঁপানি বা অন্যান্য শ্বাসকষ্ট জাতীয় ব্যাধিতে কতটা আক্রান্ত, কতটা ফাংশনাল ক্যাপাসিটি সেটা দেখতে একজন মানুষকে যদি ৬ মিনিট হাঁটতে বলা হয়, দেখা যাবে অনেকেই সামান্য পরেই হাঁপিয়ে যাচ্ছে এবং তাঁদের রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা কমে যাচ্ছে। কোভিডের কল্যাণে রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা বা স্যাচুরেশন কথাটির সঙ্গে আমরা প্রায় সকলেই পরিচিত। সুস্থ মানুষের ক্ষেত্রে সাধারণত যার মাত্রা থাকে ৯৭-৯৯ শতাংশ। যে সব মানুষ হাঁপানি বা শ্বাসকষ্টজনিত ব্যাধিতে ভোগেন, তাঁদের অনেকের ক্ষেত্রেই ৯৫-৯৬ শতাংশ। কোভিড থেকে সেরে ওঠা আপাত সুস্থ অনেক মানুষেরই এই অক্সিজেনের মাত্রা নেমে হয়েছে ৯০ শতাংশ বা তারও নিচে।
আরও পড়ুন-ফের বৃষ্টির আশঙ্কা
এই ৬ মিনিট হাঁটার পরেই কারও অক্সিজেন স্যাচুরেশন কতটা তা পালস অক্সিমিটার দিয়ে সহজেই মেপে নিতে পারি এবং জেনে নিতে পারি আমাদের ফুসফুসের কার্যকারিতা। প্রশ্ন উঠতে পারে, ঋতু পরিবর্তনের গল্পে কেন এই কোভিড এবং অক্সিজেনের প্রসঙ্গ। আসলে বৃষ্টি থামলেই যেমন প্রকৃতি শুকনো হতে শুরু করে তার পাশাপাশি বাতাসে ভাসমান কণিকার মাত্রা বিপজ্জনকভাবে বেড়ে যায়। বিগত কয়েকবছরে বিশেষ করে ছোট ছোট শিশুদের মধ্যে শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা বেড়েছে বহুগুণ।
পরিবহণের ধোঁয়া, কলকারখানার ধোঁয়া ইত্যাদি নানা কারণে একদিকে ক্রমাগত বাড়তে থাকা বায়ুদূষণ। নির্বিচারে কেটে ফেলা হচ্ছে গাছ, ধূমপান, কৃষি বর্জ্যপদার্থ জ্বালানোর থেকে তৈরি হওয়া ধোঁয়া, সব মিলিয়ে যে বাতাস বুক ভরে টানছি, তাতে ভাসমান এই অদৃশ্য সূক্ষ্ম কণিকার মাত্রা বেড়ে চলেছে। যা সবার জন্যই ক্ষতিকর। শিশুদের শ্বাসনালি সরু তাই তাতে ব্লক হওয়ার সম্ভাবনা বেশি |
বিশেষ করে যাদের অ্যালার্জির প্রবণতা বেশি, তাদের ক্ষেত্রে এই ভাসমান ধূলিকণাসমূহ বিপদ ডেকে আনতে পারে। শ্বাসকষ্ট থেকে জীবন সংশয় পর্যন্ত হতে পারে। তাই ঋতু পরিবর্তনের সময় এখন থেকে আরও বেশি সচেতন হতে হবে। নির্দিষ্ট সময় ঘুম থেকে ওঠা, নিয়মিত সময় পর্যাপ্ত সুষম খাদ্য গ্রহণ করা, পরিমিত আহার করা, পর্যাপ্ত জল খাওয়া, দৈনন্দিন খাদ্য তালিকায় পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ বিভিন্ন খাদ্যের সামঞ্জস্য বজায় রাখা। প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, টাটকা শাকসবজি এবং মৌসুমি ফল খাওয়া।
বয়স অনুপাতে ও মর্বিডিটি অনুসারে, যার জন্য যে ভ্যাকসিন নেওয়ার দরকার তা নিতে হবে। ইনফ্লুয়েঞ্জা ভ্যাকসিন, নিউমোকক্কাল ভ্যাকসিন এবং শিশুদের ক্ষেত্রে জাতীয় টিকাকরণ কর্মসূচি অনুসারে সমস্ত টিকা। রোজ নিয়মিত ব্যায়াম এবং তার পাশাপাশি ব্রিদিং এক্সারসাইজ করা ভীষণ প্রয়োজন যা আমাদের ফুসফুসের কার্যক্ষমতা ধরে রাখতে বা বাড়াতে সাহায্য করে। শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণ করা, পরিমিত আহার করা, পর্যাপ্ত জল পান করা শৃঙ্খলাবদ্ধ জীবন চর্চা করা, নিয়মিত দৈনিক অন্তত ৭ ঘণ্টা ঘুমোনো ভীষণ জরুরি।