সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় : অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ধরনায় (TMC Dharna) বসার ২৪ ঘণ্টা যেতে না যেতেই সুপ্রিম কোর্টে হেরে গেলেন রাজ্যপাল। বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তর ডিভিশন বেঞ্চ আজ নির্দেশ দিয়েছে, রাজ্যপাল আর কোনও অস্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ করতে পারবেন না। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অবস্থান শুরুর ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই যে খবর আসতে শুরু করেছে, ভাল চাইলে রাজ্যপাল এখনই বৈঠক করুন।
ব্রাত্য বসু : মুখ্যমন্ত্রীর কাছে দুঃখপ্রকাশ করা উচিত রাজ্যপালের। নৈরাজ্যপাল হয়ে বিশৃঙ্খলা তৈরি করছেন রাজ্যপাল। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দেখা না করার জন্য পিছনের দরজা দিয়ে পালিয়ে যান। রাজ্যপালের অদ্ভুত ভৌতিক নীরবতা। রাজ্যপালের দায়িত্বহীনতাকে ধিক্কার জানাই। এভাবে একা চলার মানসিকতা ঠিক নয়। আসলে আমাদের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে এঁটে উঠতে পারছে না বিজেপি।
রথীন ঘোষ : আমাদের দাবি একটাই, বাংলার গরিব বঞ্চিত মানুষের পাওনা টাকা মিটিয়ে দিতে হবে এখনই। আগে থেকে সময় দেওয়ার পরও দিল্লিতে কেন্দ্রের মন্ত্রী আমাদের নেতৃত্বের সঙ্গে দেখা করেননি। দলবদলু এক গদ্দারের সঙ্গে আলোচনা করেই কেন্দ্রের প্রতিমন্ত্রী এমন করেছেন।
কুণাল ঘোষ : বাংলার মানুষের পারিশ্রমিক চুরি করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, রাজ্যপাল— সকলেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম শুনলেই পালিয়ে যাচ্ছেন। এবার কি তা হলে প্রধানমন্ত্রীও পালিয়ে যাবেন? আসলে যে জেদ, যে লড়াই আমরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মধ্যে আমরা দেখেছি সেই লড়াইটা দিচ্ছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিষেকের নেতৃত্বে যে ধরনা (TMC Dharna) চলছে তাতে দিল্লির অলিন্দ অবধি কেঁপে গিয়েছে। তিনি দেখিয়ে দিয়েছেন লড়াই কাকে বলে। বাংলার এনার্জি, নাম তার অভিষেক ব্যানার্জি।
বীরবাহা হাঁসদা : অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় চোখে চোখ রেখে লড়াই করতে জানেন। বিজেপি নেতৃত্ব টিভিতে বসেও বেমালুম মিথ্যা কথা বলে যাচ্ছেন। এত মিথ্যাচার শুধুমাত্র বিজেপিই করতে পারে।
দেবাংশু ভট্টাচার্য : ভারতবর্ষের সবচেয়ে শক্তিশালী বিরোধী দল তৃণমূল কংগ্রেস। দিল্লিতে তৃণমূলের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির উপর বিনা প্ররোচনায় লাঠিচার্জ করেছে অমিত শাহের পুলিশ। নরেন্দ্র মোদি আসলে আঘাত করলেন ভারতবর্ষের খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষকে। শওকত মোল্লা : অমিত শাহের পুলিশ যে দুর্ব্যবহার আমাদের সঙ্গে করেছে স্বাধীন ভারতের ইতিহাসে আমরা আগে দেখিনি। রাজনৈতিক স্বার্থে বাংলার কোটি কোটি মানুষের পেটে লাথি মারা হচ্ছে।
অরূপ চক্রবর্তী : দিল্লি তো বটেই, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যেখানেই যাবেন, গোটা বাংলার মানুষের অধিকারের জায়গা হবে সেটি। দিল্লির আন্দোলনের ব্যাপকতা সেটাই প্রমাণ করল। এছাড়াও বক্তব্য পেশ করেন মদন মিত্র, অসীমা পাত্র, তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য, সুদীপ রাহা, জয়া দত্ত, জয়প্রকাশ মজুমদার, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, সমীর চক্রবর্তী, শান্তনু সেন, বিশ্বজিৎ দাস, রানা চট্টোপাধ্যায়, স্বপন দেবনাথ, সুশান্ত মাহাতো। ধরনা মঞ্চে সঞ্চালকের ভূমিকায় ছিলেন তৃণমূলের অন্যতম রাজ্য সাধারণ সম্পাদক বৈশ্বানর চট্টোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন- রাজ্যের কাজে হস্তক্ষেপ নয়, সুপ্রিম কোর্টে ধাক্কা খেল কেন্দ্র