প্রতিবেদন : প্রার্থী বাছাই করতে হবে গোপন ভোট। কিন্তু পুরোদস্তুর পদ্ধতি মেনে সেই ভোট-প্রক্রিয়ায় থাকছেন প্রিসাইডিং অফিসার-অবজার্ভার-কো-অবজার্ভার-সহ অন্যান্য সহযোগী। এই ভোট-প্রক্রিয়ার প্রতিটি ধাপে দল কড়া নজর রাখবে। সোমবার দিনহাটার বামনহাট ক্যাম্পে একান্ত আলাপচারিতায় নিজেই একথা জানালেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, ব্যালটে ভোট হওয়ার পর তা ডিজিটাইজ করা হবে। জনসংযোগ কর্মসূচির পর অধিবেশন, তারপর গোপন ভোট।
আরও পড়ুন-প্রবল তাপপ্রবাহে ইউরোপে মৃত্যুর রেকর্ড গড়েছে ২০২২, চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট
সেখানে প্রায় ২৮০০ থেকে ৩,০০০ মানুষ ভোট দেবেন। এর প্রতিটি ধাপে চূড়ান্ত স্বচ্ছতা বজায় থাকবে। প্রশ্ন ছিল, ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েতের যে কোনও সদস্য ভাল কাজ করেও তো বাদ পড়ে যেতে পারেন ঘটনাচক্রে! অভিষেক উত্তর দিলেন, তা হবে না। এমন কতকগুলি প্যারামিটার আমরা রেখেছি এখানে, যিনি কাজের মানুষ-ভাল মানুষ তিনি বাদ পড়বেন না। মানুষ তাঁকে ভোট দেবেন এই বিশ্বাস আমরা রাখি। আমরা সকলের কথা শুনতে চাই। বিশেষ করে বুথ সভাপতিদের কথা। তাঁদেরকে অনেকে অবহেলা করে। কিন্তু তাঁরাই তো আসল লোক। তাই সব জায়গায় সব বুথ সভাপতিকে থাকতে বলা হয়েছে। এক-একটা বুথ থেকে সব মিলিয়ে ভোট দেবেন প্রায় ৪০ জন।
আরও পড়ুন-সুদানে বেড়েই চলেছে মৃত্যু মিছিল, ভুগছে প্রবল খাদ্য সংকটে, শুরু অপারেশন কাবেরী
দেশের মধ্যে সব থেকে অভিনব এবং কঠিন রাজনৈতিক কর্মসূচি শুরুর আগে বাংলাদেশ সীমান্ত ঘেঁষা ক্যাম্পে বসে অভিষেক বললেন, আমরা যা ভেবেছি তার বাস্তব প্রয়োগ আমরা করব। খুবই কঠিন কাজ। তবে আমরা এটা করবই। প্রশ্ন এল এই গোটা প্রক্রিয়ায় কতদিনের প্রস্তুতি ছিল? উত্তর এল ৩৫ দিন। উপস্থিত সকলে তখন হতভম্ব। বললেন, সত্যিই ৩৫ দিনে! চেষ্টা করলে করা যায়। এবার বাকিটা মানুষের ওপর। গণতন্ত্রে মানুষই তো শেষ কথা।
আরও পড়ুন-এয়ার ইন্ডিয়াকে জরিমানা, যাত্রীকে হেনস্তা
আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টায় বামনহাটের ক্যাম্পে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করতে আসবেন বিএসএফের গুলিতে মৃত প্রেমকুমারের পরিবারের লোকজন। সকাল ১১টায় আজ সাহেবগঞ্জের মাঠে প্রথম জনসভা। তারপর দিনভর কর্মসূচি চলবে। সোমবার বাংলাদেশ সীমান্তের এই প্রত্যম্ত এলাকার অস্থায়ী তাঁবুর বাইরে ভিড় করে থাকা সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, তাঁরা সীমান্ত-সমস্যা নিয়ে অভিষেকের সঙ্গে কথা বলতে চান। বিএসএফের নিত্য অত্যাচার নিয়েও তাঁদের বিস্তর অভিযোগ। তাঁরা সেকথা বলতে চান অভিষককে।
আরও পড়ুন-সলমন শো, ইস্টবেঙ্গল সদস্যদের বিশেষ ছাড়
বামনহাট- সাহেবগঞ্জ-সহ আশপাশের গ্রামের মানুষজন খুবই খুশি যে এই প্রত্যন্ত গ্রামে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো একজন নেতা এসে রাত কাটাচ্ছেন তাঁবুতে। এর আগে কেউ কোনওদিন এভাবে থাকেননি। তাঁদের গোপন ইচ্ছে, পারলে তাঁদের বাড়ির খাবার তাঁরা অভিষেককে দিয়ে আসেন তাঁবুতে। কোচবিহার শহর থেকে বামনহাটের এই প্রত্যন্ত ক্যাম্প প্রায় ৬০ কিলোমিটার রাস্তা। গোটা রাস্তা জুড়ে যে পরিমাণ মানুষের ঢল আজ দেখা গেল তা স্বতঃস্ফূর্ততা ছাড়া হয় না। উদয়ন গুহ, রবীন্দ্রনাথ ঘোষ, পার্থপ্রতিম রায়, অভিজিৎ দে ভৌমিকেরা সবটা দেখে-শুনে বিস্ফারিত। চওড়া হাসি জেলার নেতা-নেত্রীদের মুখে।