প্রতিবেদন : মণিপুরের কাংপোকপিতে দুই মহিলাকে প্রকাশ্যে নগ্ন করে নির্যাতনের ঘটনা সামনে আসার পর বিজেপি মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিং স্বীকার করেছিলেন, তাঁর রাজ্যে এরকম শতাধিক ঘটনা ঘটেছে। কুকি ও মেইতেই সংগঠনগুলিও বলেছিল, অশান্তি পর্বে শয়ে শয়ে নারী নির্যাতন ঘটেছে গত তিন মাসে। অথচ খোদ মণিপুর সরকারের পক্ষ থেকে সুপ্রিম কোর্টে যে রিপোর্ট পেশ করা হয়েছে তাতে অন্য বক্তব্য রয়েছে। আর এর পরই আদালতে তথ্য গোপনের অভিযোগ উঠছে মণিপুরের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে।
আরও পড়ুন-বাড়ি ঘেরাও করে বিক্ষোভ
প্রসঙ্গত, মণিপুরে জাতিদাঙ্গা ও অশান্তি পর্বে দায়ের হওয়া এফআইআরের শ্রেণিভাগ করে কোন ধরনের ঘটনায় কত এফআইআর হয়েছে জানতে চেয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। তার প্রেক্ষিতে বিজেপি সরকার আদালতে যে রিপোর্ট পেশ করেছে তাতেই উঠেছে তথ্য গোপনের অভিযোগ। বিভিন্ন অপরাধের অভিযোগে মোট সাড়ে ছ’হাজার এফআইআর দায়ের হলেও তাতে খুনের মামলা ৭২, ধর্ষণের মামলা ৩, ধর্ষণের পর খুনের অভিযোগে মামলা ১ ও যৌন নির্যাতনের মামলা ৬ দেখানো হয়েছে। এর পাশাপাশি অসংখ্য গির্জা জ্বালানোর অভিযোগ থাকলেও ধর্মস্থান ধ্বংসের মামলা হয়েছে মাত্র ৪৬টি।
বেশিরভাগ অভিযোগ দেখানো হয়েছে অগ্নিসংযোগ ও লুঠপাট সংক্রান্ত। রাজ্যের এই রিপোর্ট সামনে আসার পর অভিযোগ উঠছে, ইচ্ছাকৃতভাবে লঘু অভিযোগের সংখ্যা বাড়িয়ে দেখানো, এফআইআরের সংখ্যা অনেক কম করে দেখানো ও বহু খুন ও যৌন নির্যাতনের ঘটনা চেপে গিয়েছে রাজ্য সরকার। শীর্ষ আদালতে বিজেপি সরকারের পেশ করা রিপোর্ট এবং রাজ্যে প্রকৃত অবস্থার মধ্যে কোনও মিল নেই। কুকিদের যৌথ মঞ্চ আইটিএলএফ অভিযোগ তুলেছে, শীর্ষ আদালতে অসত্য রিপোর্ট পেশ করেছে বীরেন সিং সরকার।
আরও পড়ুন-ভারত ছাড়ো আন্দোলনের ৮১তম বর্ষপূর্তিতে বিজেপিকে উৎখাত করার ডাক দলনেত্রীর
প্রকৃত পরিস্থিতির ভয়াবহতা অনেক ব্যাপক ও গভীর। রাজ্যের অরাজক পরিস্থিতি লঘু করে দেখাতে গিয়ে পরিকল্পিতভাবে তথ্য গোপন করেছে প্রশাসন। সংগঠনের বক্তব্য, শুধুমাত্র অশান্ত চূড়াচাঁদপুর জেলাতেই আট হাজারের বেশি এফআইআর হয়েছে। তাই গোটা রাজ্যে সাড়ে ছ’হাজার এফআইআর এবং খুনের ঘটনায় ৭২টি এফআইআর হওয়ার তথ্য সম্পূর্ণ অসত্য।