প্রতিবেদন : চলন্ত এক্সপ্রেস ট্রেনের সংরক্ষিত কামরায় ঢুকে যাত্রীদের থেকে অবাধে লুটপাট চালাল সশস্ত্র ডাকাত দল। ঘটনায় ফের প্রশ্নের মুখে রেলের যাত্রী-নিরাপত্তা। ডাকাতি করে ডালটনগঞ্জ স্টেশনে ট্রেন থামলে অবাধে পালিয়ে যায় ডাকাত দল। পালানোর সময় গুলিও চালায় তারা। ডাকাতের মারে আটজন ট্রেনযাত্রী জখম হয়েছেন। ঘটনার পর ক্ষুব্ধ যাত্রীরা ডালটনগঞ্জ স্টেশনে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। ট্রেন প্রায় ২ ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকে ডালটনগঞ্জ স্টেশনে।
আরও পড়ুন-রেশন দোকানে হাজির হয়ে শুনলেন অভাব-অভিযোগ, গ্রাহকের সমস্যা মেটালেন খাদ্যমন্ত্রী
ঝাড়খণ্ডের লাতেহার স্টেশন ছাড়ার পরই এই দুঃসাহসিক ডাকাতির ঘটনা ঘটে জম্মু-তাওয়াই এক্সপ্রেসে। সম্বলপুর থেকে জম্মু যাচ্ছিল ট্রেনটি। রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার রাত ১১টার পর এই দুঃসাহসিক ডাকাতি হয়। অন্য একটি সূত্রে খবর, ট্রেনের মধ্যেও ডাকাতদল কয়েক রাউন্ড গুলি চালায়। যাত্রীদের মারধরও করে। জম্মু-তাওয়াই এক্সপ্রেসের এস-৯ কামরায় ওঠে ডাকাতদল। ডাকাতরা সংখ্যায় ছিল প্রায় ১৫ জন। বারওয়াডি স্টেশন ঢোকার আগে বন্দুক দেখিয়ে যাত্রীদের কাছে থাকা জিনিস লুঠ করে নেয় ওই ডাকাতদল। গয়না, টাকাপয়সা, মোবাইল-সহ একাধিক জিনিস লুট করে তারা। ওই ট্রেনের দুটি কামরায় ডাকাতি করা হয়েছে বলেই জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন-ব্রিজভূষণ সিং প্রতিটি সুযোগে কুস্তিগীরদের হয়রানি করেছেন, আদালতে জানাল দিল্লি পুলিশ
ট্রেন ১২টা নাগাদ ডালটনগঞ্জে থামলে গুলি চালিয়ে পালিয়ে যায় ডাকাতদল। যাওয়ার আগে বন্দুক দিয়ে এক মহিলাযাত্রীর মাথাও ফাটিয়ে দেয় ডাকাতরা। তবে গুলিতে কোনও মৃত্যুর খবর নেই। ডালটনগঞ্জে আহত যাত্রীদের প্রাথমিক চিকিৎসা করা হয়। প্রায় ২ ঘণ্টা ধরে ডালটনগঞ্জ স্টেশনে চলে যাত্রী-বিক্ষোভ। সংরক্ষিত কামরায় টিকিট কেটে রেল ভ্রমণের নিরাপত্তা কোথায়, উঠে প্রশ্ন। প্রায় ২ ঘণ্টা বিক্ষোভ চলার পর ট্রেন ফের রওনা দেয়। এই ঘটনা নিয়ে ধানবাদের ডিআরএম জানিয়েছেন, ডালটনগঞ্জে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। রাজ্য পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে রেল। তদন্তের জন্য বিশেষ দল গঠন করা হয়েছে।