প্রতিবেদন : অবশেষে কিছুটা হলেও বরফ গলল। প্রায় ৩৪ ঘণ্টা পরে ঘেরাওমুক্ত হলেন কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের (Medical College Hospital) অধ্যক্ষ এবং বিভাগীয় প্রধানরা। মঙ্গলবার মধ্যরাতে ঘেরাও তুলে নিলেন আন্দোলনকারী পড়ুয়ারা। ঘোষিত সূচি অনুযায়ী ২২ ডিসেম্বরই ছাত্র সংসদের নির্বাচনের দাবিতে অধ্যক্ষের ঘরের সামনে সোমবার রাত থেকে শুরু হয়েছিল পড়ুয়াদের ঘেরাও এবং অবস্থান বিক্ষোভ। আন্দোলনকারীদের প্রতি সংহতি দেখাতে এগিয়ে আসেন বেশ কিছু জুনিয়র ডাক্তারও। ফলে আটকে পড়েছিলেন অধ্যক্ষ, কয়েকজন বিভাগীয় প্রধান এবং অধ্যাপক-সহ মোট ২৭ জন। এর জেরে মঙ্গলবার সকাল থেকে ব্যাপক বিশৃঙ্খলা দেখা দেয় হাসপাতালে। কিছুটা হলেও ব্যাহত হয় চিকিৎসা পরিষেবা। কিন্তু অধ্যক্ষ ইন্দ্রনীল বিশ্বাস জানিয়ে দিয়েছিলেন, পুলিশ ডাকা হবে না কোনও অবস্থাতেই। হাসপাতালের (Medical College Hospital) চিকিৎসা ব্যবস্থা স্বাভাবিক রাখতে প্রয়োজনীয় সবরকমের ব্যবস্থা নেয় কর্তৃপক্ষ। ঘেরাওমুক্ত হয়ে কয়েকজন অধ্যাপক শারীরিক কারণে বেরিয়ে গেলেও থেকে গিয়েছেন অধ্যক্ষ-সহ অধিকাংশ বিভাগীয় প্রধান এবং অধ্যাপকই। ঘেরাও তুলে নিলেও বুধবার আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন, ছাত্র সংসদের নির্বাচনের দাবি থেকে তাঁরা সরছেন না। সব মিলিয়ে মোট ৩ দফা দাবি। দাবি মানা না হলে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে আমরণ অনশনে বসবেন তাঁরা। তবে আন্দোলন করলেও চিকিৎসা পরিষেবায় কোনওভাবেই বিঘ্ন ঘটানো হবে না বলে জানিয়ে দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। তাঁদের দাবি, পড়ুয়াদের আন্দোলনের সঙ্গে চিকিৎসা পরিষেবা ব্যাহত হওয়ার কোনও সম্পর্ক নেই। কলেজ কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, স্বাস্থ্যভবনের নির্দেশ মেনে আলোচনার মাধ্যমে নির্বাচনের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। কারণ সবটাই কলেজ কাউন্সিলের হাতে নেই। অর্থ বরাদ্দের বিষয়টাও রয়েছে। এদিকে আন্দোলনে কয়েকজন বহিরাগতকেও দেখা গিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। প্রশ্ন উঠেছে, একই সঙ্গে অনশন আন্দোলন এবং চিকিৎসা পরিষেবায় অংশগ্রহণ কীভাবে সম্ভব? সবমিলিয়ে এখন সমাধানসূত্রের অপেক্ষায় কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ।
আরও পড়ুন-শাহ-ঘনিষ্ঠ ধৃত নেতার আরও কুকীর্তি সামনে নিয়ে এল তদন্তকারীরা