প্রতিবেদন : মুখ পুড়ল বিজেপির। ঢাকঢোল পেটানো মন্থন শিবিরের শুরুতেই জোর ধাক্কা। বয়কট করলেন সাত গেরুয়া সাংসদ। প্রশিক্ষণ শিবিরে এলেনই না তাঁরা। বৈদিক ভিলেজে সোমবারই ছিল তিনদিনের প্রশিক্ষণ শিবিরের প্রথম দিন। কিন্তু তাৎপর্যপূর্ণভাবে অনুপস্থিত রইলেন জন বার্লা, শান্তনু ঠাকুর, নিশীথ প্রামাণিক, সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়া, কুনার হেমব্রম, রাজু বিস্তা সহ সাত সাংসদ।
আরও পড়ুন-ব্যাপক বিক্ষোভে অভিযোগের আঙুল কর্তৃপক্ষের দিকেই, মেট্রোয় এসি বিভ্রাটে নাকাল যাত্রীরা
বাংলায় রিসর্ট রাজনীতির আমদানি করে এই বিলাসবহুল প্রশিক্ষণ শিবিরের আয়ােজনকে ঘিরে স্পষ্ট হয়ে উঠল বিজেপির বিভাজন রেখা। আবার প্রতিফলিত হল রাজ্য বিজেপিতে প্রবল অন্তর্দ্বন্দ্বের ছবি। এই প্রশিক্ষণ শিবির নিয়ে সোমবার তৃণমূল ছাত্র পরিষদের মঞ্চ থেকে তীব্র কটাক্ষ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর মন্তব্য, বৃন্দাবনে চলছে মন্থন শিবির। এটা মন্থন শিবির, না ক্রন্দন শিবির? নীতির বুলি উপচে পড়ছে গেরুয়া প্রশিক্ষণ শিবিরে। অথচ ‘বন্দেমাতরম’ পুরোটা গাইতে পারলেন না কেউই। শেষে ডাক পড়ল সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরির।
আরও পড়ুন-ডার্বি হারের পরই ঘুরে দাঁড়ানোর শপথ ইস্টবেঙ্গল
কোনওরকমে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে গান শেষ করলেন তিনি। বেইজ্জতির একশেষ। অথচ শিবির আয়োজনে খরচের বাঁধ ভেঙেছে বিজেপি। লাঞ্চ প্লেট দু’হাজার টাকার, ডিনারেও তাই। মাঝে আরও এলাহি খাওয়াদাওয়া। সব মিলিয়ে জনাপ্রতি দিনে খরচ প্রায় ছ’হাজার টাকা। এর ওপর আছে থাকার জন্য দিনে দশ থেকে পনেরো হাজার টাকার স্যুট। এমন বিলাসবহুল মন্থন শিবিরে কৃচ্ছ্রসাধনের প্রশিক্ষণ? মেনে নিতে পারছেন না গেরুয়া শিবিরেরই অনেক নেতা-কর্মী।