প্রতিবেদন : ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে ঠিক যা করেছিল বিজেপি সেই কাজই আবারও শুরু করেছে তারা। সঙ্গে যোগ হয়েছে রাজ্যের প্রাপ্য-রাজ্যের অধিকার থেকে রাজ্যকে বঞ্চিত করার অপচেষ্টা। সরাসরি তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে রাজনৈতিক লড়াইয়ে না পেরে একদিকে পিছনের দরজা দিয়ে এজেন্সি লাগিয়ে ক্ষমতা দখলের অপচেষ্টা। অন্যদিকে রাজ্যের পাওনাগণ্ডা আটকে দিয়ে অর্থনৈতিক অবরোধ তৈরি করে রাজ্যে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির তৈরির গেমপ্ল্যান নিয়ে নেমেছে বঙ্গ বিজেপির অযোগ্য ও রাজনৈতিকভাবে দেউলিয়া নেতৃত্ব।
আরও পড়ুন-জয়েই শেষ ঝুলন-যাত্রা, শেষবেলায় টপকে গেলেন কপিলকে
শনিবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এ বিষয়ে শুভেন্দু অধিকারী সহ বঙ্গ বিজেপির নেতাদের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক ও মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। কেন্দ্রের টাকা আবার কী, বাংলা থেকে নেওয়া টাকাই বাংলাকে দেবে, তা না দিয়ে এরা বড় বড় কথা বলছে। বিজেপি নেতারা সংকীর্ণ রাজনীতি করতে গিয়ে বাংলার মানুষের ক্ষতি করছে। এরা নাকি বাংলার ভাল চায়! সাফ কথা কুণালের।
একদিকে বাংলার রাজনীতিতে কোনও বেস না থাকা বৃদ্ধ মিঠুনের মুখ ব্যবহার করে ফয়দা লোটার চেষ্টা, অন্যদিকে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে যেভাবেই হোক রাজ্যে অস্থির পরিস্থিতি তৈরি করে আইনশৃঙ্খলার অবনতি হচ্ছে বলে হইচই বাঁধিয়ে দেওয়া— আপাতত এই দুই প্ল্যান নিয়ে এগোতে চাইছে বিজেপি। সঙ্গে আছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি।
আরও পড়ুন-ধানের সহায়ক মূল্য বাড়ল
এদিন মিঠুনকেও একহাত নিয়েছেন কুণাল ঘোষ। তাঁর কথায়, বেইমান-দলবদলু-সুবিধাবাদী মিঠুন অযোগ্য-অপদার্থ রাজ্য বিজেপির নেতাদের লিখে দেওয়া স্ক্রিপ্ট অনুযায়ী কথা বলছেন। মমতাদি আগে রাজ্যসভার জন্য ওঁকে অফার করেছিলেন, বামপন্থী বলে সে অফার উনি নেননি৷ ২০১১ তে মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর রাইটার্সে আমার সঙ্গে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করে সেসব মিটিয়ে এসেছিলেন। এরপর তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ হন। ওঁর মতো বিশ্বাসঘাতকের মুখে ভাই-বোন এসব মানায় না। উনি নিজেকে জাত গোখরো বলেন। আসলে উনি জলঢোড়া। অভিনেতা মিঠুনকে গোলাপের মালা কিন্তু রাজনীতির মিঠুনকে ঘুঁটের মালা।
আরও পড়ুন-মোদিকে ভেবে বিজেপি বিক্রি করুক চা
যারা বাংলা দখলের স্বপ্ন দেখে, বঙ্গের সেই বিভীষণরা এখন আইসিডিএসের টাকা বন্ধ করে এরাজ্যের স্কুলের বাচ্চাদের মিড-ডে মিল সহ যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা বন্ধ করে দিতে চাইছে। ৬ মাসেরও বেশি সময় ধরে ১০০ দিনের কাজের টাকা আটকে রেখেছে কেন্দ্র। বাংলা আবাস যোজনার টাকাও দিচ্ছে না। সব মিলিয়ে ঘৃণ্য রাজনীতি করছে বিজেপি। বিরোধী দলনেতা রোজ টিভি ক্যামেরার সামনে চেঁচাচ্ছেন টাকা বন্ধ করে দেব বলে। শনিবারও একই কথা বলেছেন তিনি। পাল্টা দিয়েছেন কুণাল ঘোষও। তাঁর কথায়, কেন্দ্রের টাকা কি কারও পৈতৃক সম্পত্তি নাকি? শুভেন্দু খালি নাম বদল আর ভুলভাল কথা বলে বাজার গরম করতে চাইছে। ও তো শকুনের রাজনীতি করছে তা না হলে কেউ আইসিডিএস-এর টাকা বন্ধের কথা বলে! নিজে চোর, কাগজে মুড়ে টাকা নেয়, কোন মুখে এত বড় বড় কথা বলে।
আরও পড়ুন-আজ লিগে নামছে ইস্টবেঙ্গল-মহামেডান
কুণালের সংযোজন, আসলে মানুষের দরবারে কথা বলার বদলে খালি বাবা-কাকা-জেঠাদের কাছে আবদার করছে। ও তো প্রথমে ওর বাবার ছত্রছায়ায়, পরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দয়ায় রাজনীতি করেছে, মন্ত্রী হয়েছে, সর্বোচ্চ ক্ষমতা ভোগ করেছে। নিজে চুরি করে বাঁচতে অমিত শাহের পা ধরে বিজেপিতে গেছে বাঁচতে। দলবদলু-ধান্দাবাজ-বেইমান ও এসবের কী বুঝবে। আর নাম বদল তো বিজেপি শুরু করেছে। কোনদিন শুনব রাজনাথ সিংকে ডাকা হবে কর্তব্য নাথ সিং বলে, তীব্র কটাক্ষ কুণালের।