প্রতিবেদন : ২৪ ঘণ্টা আগে মার্কিন সংস্থা হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ জানিয়েছিল, ফের তারা এক চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আনতে চলেছে। বৃহস্পতিবার রাতে তারা সেই চঞ্চল্যকর রিপোর্ট প্রকাশ করে। ভারতীয় শিল্পপতি গৌতম আদানির পর এবার হিন্ডেনবার্গের নিশানায় ট্যুইটারের প্রাক্তন সিইও জ্যাক ডরসি।
আরও পড়ুন-দেবী বাসন্তী, তাত্ত্বিক রূপরেখা
এদিন ওই মার্কিন সংস্থার তরফে ট্যুইটারের প্রাক্তন সিইও জ্যাক ডরসির সংস্থা ব্লক ইনকর্পোরেশন নিয়ে একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আনা হয়েছে। প্রকাশিত রিপোর্টে বলা হয়েছে, ডরসি পরিচালিত এই পেমেন্ট ফার্মে ব্যবহারকারীর সংখ্যা অনেক বাড়িয়ে দেখানো হয়েছে। একইসঙ্গে গ্রাহকদের জন্য করা খরচ কমিয়ে দেখানো হয়েছে। এ প্রসঙ্গে হিন্ডেনবার্গ দাবি করেছে, ডরসির সংস্থা ব্লক ইনকর্পোরেশনের প্রাক্তন কর্মীরাই জানিয়েছেন, সংস্থার তরফে যে বিপুল সংখ্যক গ্রাহকের কথা বলা হয় তার মধ্যে ৪০ থেকে ৭৫ শতাংশ অ্যাকাউন্টই ভুয়ো। এ ধরনের ভুয়াে অ্যাকাউন্ট খুলে সংস্থার গ্রাহক সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছিলেন সংস্থার শীর্ষ আধিকারিকরা।
আরও পড়ুন-অস্কারজয়ী নারীরা
হিন্ডেনবার্গের এই রিপোর্ট প্রকাশ হতেই ডরসির সংস্থা প্রায় ৪৩২৬ কোটি টাকারও বেশি সম্পত্তি খুইয়েছে। কারণ হিন্ডেনবার্গের রিপোর্ট পেশ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ব্লকের শেয়ার দর প্রায় ২২ শতাংশ পড়েছে। ব্যক্তিগতভাবে ডরসির সম্পত্তি কমেছে ১১ শতাংশ। এমনটাই জানিয়েছে ব্লুমবার্গ ইনডেক্স।
আরও পড়ুন-অস্কারজয়ী নারীরা
হিন্ডেনবার্গের দাবি, দুই বছর ধরে চালানো তদন্তে তারা দেখেছে, ডরসির সংস্থা গ্রাহক ও সরকারের সঙ্গে রীতিমতো প্রতারণা করেছে। নিজেদের সংস্থায় আরও বেশি বিনিয়োগ টেনে আনতে সংস্থাকে জনপ্রিয় হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছিল। সে কারণে ব্লক ইন কর্পোরেশনের শেয়ারের দর খুব অল্পদিনের মধ্যেই ব্যাপক হারে বেড়ে যায়। সে সময় শেয়ার বিক্রি করে বিপুল মুনাফা ঘরে তোলেন ডরসি।