প্রতিবেদন : একশো দিনের কাজ, আবাস যোজনা-সহ কেন্দ্রীয় প্রকল্পে রাজ্যের প্রাপ্য টাকা আটকে রেখেছে কেন্দ্রের মোদি সরকার। সদ্য পেশ হওয়া কেন্দ্রীয় বাজেটে বরাদ্দ ছাঁটাই হয়েছে মিড ডে মিল, জননী সুরক্ষা, স্বাস্থ্য মিশনের মতো প্রকল্পে। যার তীব্র প্রতিবাদ করেছে তৃণমূল। অথচ মুখ বাঁচাতে নারী ও শিশু কল্যাণে কেন্দ্রের বরাদ্দ খরচ করা হচ্ছে না বলে হাওয়ায় অভিযোগ ভাসিয়ে দিয়েছেন কেন্দ্রের মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। শনিবার কলকাতায় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে স্মৃতি ইরানি রাজ্য সরকারকে নিশানা করে বলেন, কেন্দ্রের তরফে যে টাকা দেওয়া হয়েছে তা খরচ করতে পারেনি রাজ্য সরকার। সঙ্গত ভাবেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর এই ভিত্তিহীন অভিযোগের প্রতিবাদ জানিয়েছে রাজ্য সরকার এবং তৃণমূল শিবির (Shashi Panja- Smriti Irani)।
রাজ্যের নারী, শিশু ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রী শশী পাঁজা (Shashi Panja- Smriti Irani) কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বক্তব্যের প্রতিবাদ করে পাল্টা আগামী অর্থ বছরের কেন্দ্রীয় বাজেটে মিড ডে মিল-সহ নারী ও শিশুদের উন্নয়ন ও কল্যাণের সঙ্গে সম্পর্কিত বিভিন্ন প্রকল্পে কেন বাজেট বরাদ্দ কমানো হল তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি বলেন, হাওয়ায় অভিযোগ ভাসিয়ে দিলে হবে না। কোন কোন খাতে টাকা খরচ হয়নি তার বিস্তারিত হিসাব দিন। এবারের কেন্দ্রীয় বাজেটে নারী ও শিশু কল্যাণ খাতে বরাদ্দ কমে গেল কেন? শিশপ্রেম দেখাচ্ছেন? মিড-ডে মিলে বরাদ্দ ২.৫ শতাংশ কমল কেন? আগে উনি এইসব বিষয়গুলোর উপর নজর দিন। বিজেপি নেত্রীর দাবির পর পাল্টা তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) বলেন, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকে একথা বলছেন স্মৃতি। তাঁর অভিযোগের কোনও সারবত্তা নেই। রাজ্যসভার সাংসদ শান্তনু সেন বলেন, যারা ‘বেটি বাঁচাও, বেটি পড়াও’-এর ৮৫ শতাংশ টাকা বিজ্ঞাপনের জন্য খরচ করে, তাদের মুখে এইসব কথা মানায় না। পশ্চিমবঙ্গ সরকার সঠিক ভাবেই কাজ করছে। রাজনৈতিক ভাবে ক্ষমতা দখল করতে পারছে না। তাই নানা রকম শর্ত আরোপ করে আর্থিক ভাবে অবরুদ্ধ করা হচ্ছে। প্রতিহিংসাপরায়ণতা থেকেই এই কাজগুলি করা হচ্ছে।