মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভয়ে কাঁপছে মোদি সরকার! ধর্নামঞ্চ থেকে কেন্দ্রকে ‘খামোশ’ করে আক্রমণ শত্রুঘ্নের

Must read

দেশের সরচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি রিয়েল বেঙ্গল টাইগ্রেস। লৌহমানবীকে ভয় পায় মোদি সরকার। সেই কারণে রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় আটকে রেখেছে বাংলার বকেয়া। শুক্রবার, রেড রোডে বাংলার বকেয়ার দাবিতে তৃণমূল (TMC) সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) ধর্নামঞ্চ থেকে এই ভাবেই কেন্দ্রকে নিশানা করলেন তৃণমূল (TMC) সাংসদ তথা বিখ্যাত বলিউড অভিনেতা শত্রুঘ্ন সিনহা। এর পরেই তিনি প্রশ্ন তুললেন, বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে ভয় পেয়ে বাংলার মানুষের প্রাপ্য আটকাচ্ছে কেন মোদি সরকার? এটা মানুষের অধিকার। কেন্দ্রকে ‘খামোশ’ করে, বাংলার দাবি আদায়ের লড়াইয়ে পাশে আছেন- আশ্বাস ‘বিহারী’ তথা ‘বাঙালিবাবু’।

রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে বাংলার ন্যায্য পাওনা আটকে রেখেছে কেন্দ্রের মোদি সরকার। এর প্রতিবাদে রেড রোডে ধর্নায় বসেছেন তৃণমূল সভানেত্রী। এই ধর্নামঞ্চে এদিন উপস্থিত ছিলেন শত্রুঘ্ন সিনহা ছিলেন। সেই মঞ্চ থেকেই বাংলার দাবি নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন তৃণমূল সাংসদ শত্রুঘ্ন। তিনি স্পষ্ট বার্তা দেন, আমি আপনাদের জন্য পাশে আছি। তাঁর কথায়, মমতা বাংলার বাঘিনী। লৌহমানবী। তাঁকে ভয় পায় কেন্দ্র। কিন্তু তাঁকে ভয় পেয়ে বাংলার জনতাকে বঞ্চিত করছেন কেন! প্রশ্ন তোলেন বিহারীবাবু। তিনি জানান, সারা দেশে কেন্দ্রের প্রকল্পে সবচেয়ে বেশি বঞ্চিত বাংলা।

এরপরেই বাজেট নিয়ে মোদি সরকারকে তীব্র আক্রমণ করেন শত্রুঘ্ন সিনহা। বলেন, সংসদে নাটক চলছে। এটা অন্তর্বর্তী বাজেট নয়, এটা ছিল বিজেপির অন্তিম বাজেট। কোনও প্রতিশ্রুতি পালন করেনি। ৮০ কোটি গরিব মানুষকে নাকি রেশন দিচ্ছে, আবার বলছে ২৫ কোটি মানুষদের দারিদ্রসীমার উপরে এনেছি! মিথ্যাচারের রাজনীতি করছে বিজেপি সরকার। ৯-১৪ বছরের মেয়েদের জরায়ু ক্যানসারের টিকা দেওয়া কথা বলে হচ্ছে ভালো কিন্তু বাকি রোগ, স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে কী বরাদ্দ হয়েছে? কৃষকের দাবিপূরণ হয়নি বাজেটে। এখনও চাষীর ২৭ টাকা দৈনিক মজুরি। যুবদের কর্মসংস্থানের দিশা নেই।

আরও পড়ুন- CAG রিপোর্টের জবাব দিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে কড়া চিঠি পাঠালেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী

শত্রুঘ্ন সিনহা জানান, অটল বিহারীর বাজপেয়ীর আমলে তিনি স্বাস্থ্যমন্ত্রী ছিলেন। সেই সময়
দেশে ৬টি এইমস হয়েছিল। তার পরে এইমস হলেও তার আধুনিকীরণ হয়নি।

বিহারের রাজনীতি নিয়েও তুলোধনা করেন বিহারীবাবু শত্রুঘ্ন। বলেন, “তেজস্বীর সঙ্গে পল্টুরাম কী করলেন? যখন ওর মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার সময় হয়েছে, তখনই পাল্টি খেলেন একজন। ঝাড়খন্ডে একজন আদিবাসীদের মুখ্যমন্ত্রীকে করে অধিবাসীদের অপমান করেছে, প্রতিহিংসার কাজ করছে।“ একতিরে বিজেপি আর নীতিশ কুমারকে নিশানা করে তিনি বলেন, কাকে যে পল্টুরাম বলব বুঝবে পারছি না।

শত্রুঘ্ন সিনহার কথায়, বাংলায় যেহেতু আমাদের সামনে আছেন বাঘিনী আছে, সেই কারণে এখানে কিছু করতে সাহস পাচ্ছে না। না হলে আমাদের সবাইকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হতে হত।

Latest article