বৃহস্পতিবার উত্তরবঙ্গ সফর শেষ করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) জানালেন যেখানে তিনি নিজে আন্দোলন এর মধ্যে দিয়েই রাজনৈতিক জীবনে পদার্পন করেছেন সেখানে তিনি একেবারেই আন্দোলনের বিরোধী নন। এদিন তিনি স্পষ্ট করেই বলেন, ‘আন্দোলনকারীদের আমি ভালবাসি। যাঁরা ন্যায্য আন্দোলন করছেন তাঁদের।’
আরও পড়ুন-‘সিত্রাং’ মোকাবিলায় এবার কালীপুজোর ছুটি বাতিল হল নবান্নের
পাশাপাশিই তিনি বলে দিলেন, ‘‘এই নিয়ে যা বলার, ব্রাত্য বলবে।’’ এদিন, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পালও (Goutam Paul) সাংবাদিক বৈঠক করে বলেন ‘আন্দোলনকারীদের আমি বারবার অনুরোধ করেছি আপনারা যে দাবি করছেন তা বৈধ নয়। নিজেদের শরীরকে এভাবে কষ্ট দেবেন না। আমাদের হাতে পদ তৈরির ক্ষমতা নেই। আর আমাকে কোনও বেআইনি কাজ করতে বাধ্য করা হলে আমারও অনশনে বসার অধিকার রয়েছে। আমরা আইনের পথে থাকব।‘
আরও পড়ুন-‘ঝড় বৃষ্টিতে সাবধানে থাকুন, আবহাওয়া দেখে বাইরে বেরোবেন’ সতর্কবার্তা মুখ্যমন্ত্রীর
সোমবার থেকে ২০১৪ সালের TET উত্তীর্ণ এবং প্রশিক্ষণপ্রাপ্তেরা সল্টলেকে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের দফতরের সামনে আন্দোলন করছেন। তাঁদের দাবি ইন্টারভিউ প্রক্রিয়ায় অংশ না নিয়েই চাকরি দিতে হবে। তাঁদের একাংশ আমরণ অনশনও শুরু করেছেন। কিন্তু পর্ষদের নতুন সভাপতি স্পষ্ট জানিয়েছেন, টেট উত্তীর্ণদের নতুন করে ইন্টারভিউ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে হবে। আইনের পথেই তাঁদের চাকরি দেওয়া হবে।
প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদে ২৬৯ জনের নিয়োগ বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সেই নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত। এই বিষয়টি উল্লেখ করে এদিন মমতা বলেন এই বিষয়টি নিয়ে তিনি খুশি। ‘‘কোর্টে কেস চলছে। কোর্টের অর্ডারকেও সম্মান দিচ্ছি। তাই কিছু বলছি না। আমি তো চাই, কারও চাকরি যেন না যায়। সকলের চাকরি থাকুক। আমি খুশি যে সুপ্রিম কোর্ট রায় দিয়েছে।’’
আরও পড়ুন-আমাকেও কিনতে চেয়েছিল বিজেপি, বোমা ফাটালেন সায়ন্তিকা
এনিয়ে গৌতম পাল বলেন, ’’২০১৪ বা ২০১৭-র টেট উত্তীর্ণদের আমাদের কাছে কোনও ফারাক নেই। সবাই আমাদের চোখে সমান। সবাইকে গোটা নিয়োগ প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে যেতে হবে। কোনও নির্দিষ্ট বছর টেট উত্তীর্ণদের বাড়তি নম্বর দেওয়ার কোনও সুযোগ নেই।’’