প্রতিবেদন : ঠিক দু’বছরের ব্যবধানে একই ঘটনা। প্রশ্নচিহ্নের মুখে ভারতের প্রতিরক্ষা-ব্যবস্থা। চিন থেকে পাকিস্তানে পারমাণবিক পণ্য পাচার করতে গিয়ে মুম্বইয়ে আবার ধরা পড়ল করাচিগামী একটি জাহাজ। বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় গলদের সুযোগ নিয়েই ভারতীয় জলসীমা দিয়ে যুদ্ধাস্ত্র পাচার হচ্ছে চিন থেকে পাকিস্তানে। গোপনসূত্রে খবর পেয়ে শনিবার সকালে মুম্বইয়ের নবসেনা সমুদ্রবন্দরে জাহাজটিকে আটক করা হয়।
আরও পড়ুন-নির্বাচন কমিশনের স্পষ্ট নির্দেশ, ধর্মস্থানে ভোটের প্রচার নয়, কঠোর ব্যবস্থার হুঁশিয়ারি
শুল্ক দফতর এবং ডিআরডিও-র বিশেষজ্ঞ দল জাহাজের পণ্য খতিয়ে দেখে। এরমধ্যে কম্পিউটার নিউমেরিক্যাল কন্ট্রোল মেশিন দেখেই সন্দেহ দানা বাঁধে তাঁদের মনে। বিশেষজ্ঞদের বিশ্বাস, কোনও পারমাণবিক প্রকল্পের জন্য ব্যবহার করার উদ্দেশ্য ছিল এই যন্ত্রকে। যে যন্ত্রগুলি পাকিস্তানে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, সেগুলি ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির জন্যই ব্যবহার করতে চেয়েছিল তারা। উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক প্রকল্পের জন্য ব্যবহার করা হয়েছিল যে ধরনের যন্ত্র, ঠিক সেই ধরনেরই সিএনসি যন্ত্র পাওয়া গিয়েছে আটক জাহাজটিতে। লক্ষণীয়, এই প্রথম নয়, ২০২২এর ১২ মার্চও নব সেবা বন্দরে ধরা পড়েছিল চিন থেকে পাকিস্তানগামী ঠিক এইরকমই একটি জাহাজ। ভারতীয় জলসীমায় আটক সেই জাহাজেও ছিল পাকিস্তানের যুদ্ধসামগ্রী। ইতালির তৈরি থার্মোইলেক্ট্রিক সরঞ্জাম পাকিস্তানে নিয়ে যাওয়ার পথে বাজেয়াপ্ত করা হয় জাহাজটিকে।
আরও পড়ুন-ডেবরার প্রস্তুতিসভায় লোকসভা ভোটে একজোট হয়ে লড়ার বার্তা দিলেন সুব্রত
তবে শনিবার ধরা পড়া জাহাজটি তাইওয়ান মাইনিং ইমপোর্ট অ্যান্ড এক্সপোর্ট নামে একটি সংস্থার বলে জানা গিয়েছে। পাকিস্তানের কসমস ইঞ্জিনিয়ারিং সংস্থায় পাঠানো হচ্ছিল পণ্য। এই কসমস ইঞ্জিনিয়ারিং ২০২২এর ঘটনার পর থেকেই ছিল গোয়েন্দাদের নজরে। কিন্তু এই ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছে, ভারতীয় জলসীমা সুরক্ষিত তো? চিন থেকে পাকিস্তানে মারণাস্ত্র পাঠানোর জন্য এভাবে বারবার ভারতীয় জলসীমাকে ব্যবহার করার সাহস হচ্ছে কীভাবে? এটা প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার দুর্বলতাকেই কি চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে না?