প্রতিবেদন : সাক্ষীদের প্রশ্ন করার অধিকার রয়েছে অভিযুক্তের। আর সেকারণেই সংসদ থেকে বহিষ্কৃত তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রকে হিরানন্দানি-সহ অন্য সাক্ষীদের জেরার সুযোগ দেওয়া উচিত ছিল। ক্যাশ ফর কোয়েশ্চন কাণ্ডে মহুয়ার পরিণতি নিয়ে মুখ খুললেন লোকসভার প্রাক্তন সেক্রেটারি জেনারেল পিডিটি আচারি।
আরও পড়ুন-বে.আইনি পার্কিংয়ের বাড়.বাড়ন্ত রুখতে কলকাতা পুরসভার অ্যাপ
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে তিনি স্পষ্টভাবেই জানান, ঘটনার অন্যতম সাক্ষী দর্শন হিরানন্দানি-সহ অন্য সাক্ষীদের জেরা করার সুযোগ দেওয়া উচিত ছিল মহুয়া মৈত্রকে। এই নিয়ম সকলেই মেনে চলে। লোকসভায় এথিক্স কমিটির সুপারিশ বিজেপি সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোরে পাশ করিয়ে নিলেও একাধিক বিরোধী সাংসদের অভিযোগ, বিষয়টি নিয়ম মেনে হয়নি। তাঁদের অভিযোগ, মহুয়ার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হলেও তাঁকে নিজের বক্তব্য জানানোর সুযোগ দেওয়া হয়নি। পাশাপাশি মহুয়ার বিরুদ্ধে যাঁরা অভিযোগ তুলেছিলেন, তাঁদের পাল্টা প্রশ্ন করার সুযোগ মহুয়াকে দেয়নি এথিক্স কমিটি। এদিকে এথিক্স কমিটির কাছে নিজের বক্তব্য জানাতে গিয়ে শনিবারও মহুয়া জানিয়েছিলেন, লগইন আইডি ও পাসওয়ার্ড অন্যকে দেওয়ার মধ্যে কোনও বেনিয়ম নেই।
আরও পড়ুন-জলের মিটার চুরি রুখতে নতুন কৌশল কেএমসির
সেই সূত্র ধরেই আচারি জানিয়েছেন, লগইন আইডি এবং পাসওয়ার্ড অন্যকে দেওয়ার ক্ষেত্রে সাংসদদের উপরে কোনও বিধিনিষেধ নেই। সেক্ষত্রে কীভাবে একজনের বিরুদ্ধে এই ইস্যুতে ব্যবস্থা নেওয়া যায় তা আমি জানি না। আচারির বক্তব্য, মহুয়ার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের তদন্ত এথিক্স কমিটি করতে পারে না, সেই কাজ করার এক্তিয়ার আছে প্রিভিলেজ কমিটির। আচারি আরও জানান, মহুয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ যে তিনি প্রশ্নের বিনিময়ে হিরানন্দানির থেকে নগদ এবং উপহার নিয়েছেন। এই মামলা দুর্নীতি দমন আইনের আওতায় সিবিআই করতে পারে। কিন্তু এখানে সংসদীয় কমিটির ভূমিকা থাকতে পারে না।