প্রতিবেদন : ২৪ ঘণ্টা কেটে গেলেও রিঙ্কু সিংকে নিয়ে ঘোর কাটছে না কেকেআর শিবিরে। রবিবার রাতে নাইটদের অবিশ্বাস্য জয়ের পরেই শাহরুখ খান ট্যুইট করে অভিনন্দন জানিয়েছিলেন ম্যাচের নায়ক রিঙ্কুকে। রিঙ্কুর বিস্ফোরক ব্যাটিং মন জয় করেছে কিং খানের সন্তানদেরও। কন্যা সুহানা রিঙ্কুর পাঁচটি ছয় মারার ছবি ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করেছেন। ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘অবাস্তব!’ অন্যদিকে শাহরুখের ছেলে আরিয়ানও রিঙ্কুর ছক্কা হাঁকানোর ছবি পোস্ট করে লিখেছেন— ‘বিস্ট’। রিঙ্কুকে অভিনন্দন জানিয়ে ট্যুইট করেছে আইসিসিও।
পিছিয়ে নেই শ্রেয়স আইয়ারও। রাতেই বেঙ্গালুরুর জাতীয় অ্যাকাডেমি থেকে ভিডিও কল করেন শ্রেয়স। সেই সময় কেকেআর ড্রেসিংরুমে রীতিমতো উৎসবের পরিবেশ। গান ও নাচে চলছে দুরন্ত জয়ের উৎসব পালন। শ্রেয়স বলেন, ‘‘কোথায় রিঙ্কু? ম্যাচের হিরো কোথায়? ওকে ফোনটা দাও।’’ রিঙ্কুর হাতে ফোন দেওয়া মাত্রই শ্রেয়স চেঁচিয়ে ওঠেন, ‘‘রিঙ্কু ভাইয়া জিন্দাবাদ।’’ শুনে রিঙ্কু বলেন, ‘‘সবই ঈশ্বরের আশীর্বাদ। তুমি ম্যাচটা দেখেছ?’’ শ্রেয়স উত্তরে বলেন, ‘‘দেখেছি। তুমি কী অসাধারণ ভাবে মাথা ঠান্ডা রেখে জেতালে। তোমার জন্য কোনও প্রশংসাই যথেষ্ট নয়।’’
আরও পড়ুন-‘১৩ এপ্রিল ‘ধনধান্য’ স্টেডিয়ামের উদ্বোধন হবে’ নবান্ন থেকে ঘোষণা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের
এদিকে, যে ব্যাট দিয়ে টানা পাঁচটি ছক্কা হাঁকিয়ে কেকেআরকে রুদ্ধশ্বাস জয় উপহার দিয়েছেন রিঙ্কু। সেই ব্যাট আদতে নীতীশের। নীতীশ বলেন, ‘‘এই ব্যাট দিয়েই আগের দুটো ম্যাচ খেলেছি। সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফির সব ক’টি ম্যাচও এই ব্যাটে খেলেছি। রিঙ্কু আমার কাছে ব্যাটটা চেয়েছিল। কিন্তু আমি দিইনি। তবে ভিতর থেকে কেউ একজন ওকে ব্যাটটা দিয়ে দেয়। রিঙ্কু যখন ব্যাট করছিল, তখন দেখেই আমার মনে হয়েছিল এটা আমার ব্যাট। তবে এখন ওটা রিঙ্কুরই সম্পত্তি।’’
আরও পড়ুন-নজরে বিহার, ধর্ষণের পর নাবালিকার গোপনাঙ্গে মাটি, বালি ঢোকানো হল
প্রসঙ্গত, আইপিএল এর আগে আরও চারবার এক ওভারে পাঁচ ছক্কা মারার নজির রয়েছে। ২০১২ সালে পুণে ওয়ারিয়র্সের রাহুল শর্মার এক ওভারে পাঁচ ছক্কা হাঁকিয়েছিলেন আরসিবির ক্রিস গেইল। ২০২০ সালে পাঞ্জাবের শেলডন কটরেলের এক ওভারে পাঁচ ছয় মেরেছিলেন রাজস্থানের রাহুল তেওটিয়া। ২০২১ আইপিএলে আরসিবির হর্ষল প্যাটেলের ওভারে একই কাণ্ড ঘটিয়েছিলেন চেন্নাইয়ের রবীন্দ্র জাদেজা। আর গত বছর কেকেআরের শিবম মাভির এক ওভারে পাঁচ ছক্কা হাঁকান লখনউ সুপার জায়ান্টসের মার্কাস স্টোইনিস এবং জেসন হোল্ডার।