একটার পর একটা লাভনজক সরকারি সম্পত্তিকে বেসরকারিকরণ ও পুঁজিপতিদের হাতে তুলে দিচ্ছে, এবার তার তীব্র বিরোধিতা শোনা গেল তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায়ের গলায়। তিনি অভিযোগ করেন , লাভজনক সরকারি সংস্থাকে বেসরকারি সংস্থার হাতে লিজ দিয়ে দেশকে বিপথে চালিত করছে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকার।
আরও পড়ুন- চোরাশিকার, কাঠপাচার রুখতে কড়া পদক্ষেপ রাজ্যের, বনাঞ্চল থাকবে গোয়েন্দা নজরে
সাংবাদিক বৈঠকে তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায় বলেন, “সংস্কার কর্মসূচি ঘোষণার আগে সংসদে, অর্থমন্ত্রকের কমিটিতে আলোচনা হয়নি। বিজেপির ইস্তেহারেও এই ধরনের ব্যাপক আর্থিক সংস্কারের কথা বলা হয়নি। নীতি আয়োগ কোনও সাংবিধানিক সংস্থা নয়। জনগণের সম্পত্তির পারপেচুয়াল লিস্ট দেওয়া হয়েছে। এই সম্পত্তির মধ্যে আছে ২৬,৭০০ কিলোমিটার জাতীয় সড়ক, জাতীয় গ্যাস পাইপ লাইন, বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র। ৪০০টি রেল স্টেশনের বেসরকারিকরণ হচ্ছে।”
তাঁর আরও অভিযোগ, “এটা উদ্বেগজনক যে বেসরকারি খাতকে চিরস্থায়ী ইজারা দেওয়া হয়েছ এবং এই ইজারা আরও বাড়ানো যেতে পারে। এটি ইকো সিস্টেম ধ্বংস করবে। কাজের নিরাপত্তা আর থাকবে না, বরং যে কোনও সময় কর্মীদের কাজ থেকে বার করে দেওয়া হতে পারে। কোনও হরতাল বা বিক্ষোভ অনুমোদিত হবে না।”
আরও পড়ুন- তৃতীয় ঢেউয়ের আগে শিশুর পুষ্টির অভাব নিয়ে বার্তা
সুখেন্দু শেখর রায়ের কথায়, “মোদি সরকার এই কাজ করছে, কারণ ওরা দেউলিয়া হয়ে গেছে। এই সরকার সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করছে না কিন্তু কর্পোরেট কোম্পানিগুলির জন্য কাজ করছে। আমরা এই ধরনের অর্থনৈতিক সংস্কারের বিরোধিতা করি।”
শুধু তাই নয়। তৃণমূল শিবিরের আরও অভিযোগ, এই নীতিতে আসা টাকার একটি অংশ বিজেপি পার্টি অফিসে যাচ্ছে। সুখেন্দুবাবু প্রধানমন্ত্রীর দুটি বিমানের খরচ নিয়েও কটাক্ষ করেন এদিন।
আরও পড়ুন- তৃতীয় ঢেউয়ের আগে শিশুর পুষ্টির অভাব নিয়ে বার্তা
প্রসঙ্গত, গত সোমবার ন্যাশনাল মনিটাইজেশন পাইপলাইন প্ল্যানের কথা ঘোষণা করেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। তাঁর বক্তব্য, ৬ লক্ষ কোটি টাকা তোলার পরিকল্পনা করেছে কেন্দ্র। ৪ বছরের এই প্রকল্পের নাম দেওয়া হয়েছে ন্যাশনাল মনিটাইজেশন পাইপলাইন। রেল, বিমানবন্দর, টেলিকমের মতো বিভিন্ন ক্ষেত্রের সরকারি সম্পত্তিকে ৪ বছরের জন্য লিজ দেওয়া হবে।