চোরাশিকার, কাঠপাচার রুখতে কড়া পদক্ষেপ রাজ্যের, বনাঞ্চল থাকবে গোয়েন্দা নজরে

Must read

প্রতিবেদন : বন্যপ্রাণী শিকার এবং অবৈধ কাঠপাচার রুখতে এবার বনাঞ্চলে গোয়েন্দা নিয়োগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য। বড় বনাঞ্চলে তিনজন, মাঝারিতে দুইজন এবং ছোট বনভূমিতে একজন করে গোয়েন্দা নিয়োগ করা হবে বলে বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে। উত্তরবঙ্গের তরাই ও ডুয়ার্স অঞ্চল এবং দক্ষিণবঙ্গের সুন্দরবন এ সবচেয়ে বেশি সংখ্যক গোয়েন্দা নিয়োগ করা হবে।

আরও পড়ুন- তৃতীয় ঢেউয়ের আগে শিশুর পুষ্টির অভাব নিয়ে বার্তা

নিরাপত্তার স্বার্থে গোয়েন্দাদের পরিচয় গোপন রেখে আধিকারিকদের কাছে দ্রুত জঙ্গলের ভিতরে ঘটা অপরাধের ছবি পাঠানোর জন্য তাদের হাতে অত্যাধুনিক মোবাইল ফোন দেওয়া হবে। স্বাধীনতার পরে পরেই বন্যপ্রাণ শিকার নিষিদ্ধ হয়েছে দেশে। বন্যপ্রাণ বাঁচাতে তৈরি হয়েছে অভয়ারণ্য, জাতীয় বনভূমি, সংরক্ষিত বনভূমি। একই সঙ্গে ওইসব জঙ্গলে থাকা গাছ কাটার ওপরেও আইনি নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।

আরও পড়ুন- দুয়ারে সরকারের রেকর্ড নাম নথিভুক্ত হল ১ কোটি মানুষের

কিন্তু তা সত্ত্বেও, চোরাশিকার ও অবৈধভাবে কাঠ কাটা ও তা পাচারের ঘটনা কিছুতেই ঠেকানো যাচ্ছে না দেশজুড়ে ছড়িয়ে থাকা ওই সব বনভূমিতে। বাংলাও তার ব্যতিক্রম নয়। তাই এবার এই রাজ্যে বনের গাছ কেটে নেওয়া থেকে শুরু করে বন্যপ্রানী হত্যার ঘটনায় রাশ টানতে রাজ্যের বন দফতরে পেশাদার গোয়েন্দা নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে নবান্ন। ঠিক হয়েছে, এই গোয়েন্দাদের একটা বড় অংশকেই নিয়োগ করা হবে সুন্দরবন ও উত্তরবঙ্গের বৃহৎ বনাঞ্চলে। নিরাপত্তার স্বার্থে গোয়েন্দাদের পরিচয়ও গোপন রাখা হবে।

Latest article