সৌমালি বন্দ্যোপাধ্যায়, হাওড়া: এখানে পুজো হয় বৈষ্ণব মতে। তাই দেবী আরাধনায় কোনও বলি হয় না। দশমীতে নয়, সিঁদুর খেলা হয় অষ্টমীতে। ১৮০ বছরের বেশি সময় ধরে সাঁকরাইলের রাজগঞ্জের পালবাড়িতে বৈষ্ণবমতেই হয়ে চলেছে দেবী দুর্গার আরাধনা। সেই সময়ের আন্দুল রাজবাড়ির দেওয়ান চূড়ামণি পাল এই পুজোর সূচনা করেছিলেন।
আরও পড়ুন-ডিএসপি-র উচ্ছেদ অভিযান, তপ্ত তামলাবস্তি এলাকা
বছরের পর বছর ধরে রাজগঞ্জের পাল বাড়ির পুজোয় এই রেওয়াজ চলে আসছে। অষ্ঠমীর সকালে বাড়ির মহিলারা সবাই একসঙ্গে দুর্গা দালানে এই সিঁদুর খেলায় শামিল হন। চূড়ামণি পালের পর তাঁর ছেলে নফরচন্দ্র পাল এই পুজো এগিয়ে নিয়ে যান। চূড়ামণি পালের পঞ্চম বংশধর স্বরূপ পাল জানালেন, জন্মাষ্টমীর দিন কাঠামো পুজোর মাধ্যমে আমাদের পুজোর সূচনা হয়। মহালয়ার দিন হয় মায়ের চক্ষুদান। পাশের পাড়ার কুমোর পরিবারের সদস্যরা বংশানুক্রমিকভাবে প্রতিমা তৈরি করে আসছেন। বাড়ির দুর্গাদালানেই একচালার প্রতিমা তৈরি হয়। তাঁর কথায়, আমাদের পুজোয় কোনওরকম বলি হয় না। ফল, মিষ্টি দিয়ে মায়ের পুজো করা হয়।
আরও পড়ুন-কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রীকে তীব্র আক্রমণ তৃণমূল কংগ্রেসের
পুজোর চারদিন পরিবারের সবাই একসঙ্গে খাওয়াদাওয়া হয়। এলাকার অনেকেও পুজোর দিনগুলিতে আমাদের বাড়িতে এসে খেয়ে যান। পুজোর সময় প্রতিদিনই ২০০-২৫০ লোক খান। আমাদের বাড়ির পুজো এলাকায় কার্যত সর্বজনীন পুজোর রূপ নেয়। দূরদূরান্তে থাকা আত্মীয়স্বজনরাও পুজোর সময় আমাদের বাড়িতে আসেন। সব মিলিয়ে বনেদিবাড়ির এই পুজো এলাকার সাধারণ মানুষের আনন্দের কেন্দ্রবিন্দু।