প্রতিবেদন : দিল্লিতে হামলা চালানোর ছক কষতে নয়ডায় একটি বেসরকারি সংস্থায় চাকরি জুটিয়ে ফেলেছিল হাওড়ায় জঙ্গি সন্দেহে ধৃত সাদ্দাম। চাকরি নয়, দু’জন টার্গেটের গতিবিধি নজরে রাখাই ছিল তার দিল্লিযাত্রার মূল উদ্দেশ্য। জানুয়ারির শেষেই নয়ডার চাকরিতে যোগ দেওয়ার কথা ছিল তার। শুধু তাই নয়, সিঙ্গাপুরের এক মহিলার সঙ্গেও নিয়মিত যোগাযোগ ছিল তার। তদন্তে জানতে পেরেছেন কলকাতা পুলিশের স্পেশ্যাল টাস্কফোর্সের গোয়েন্দারা।
আরও পড়ুন-ভারতকে নেতৃত্ব দিতে চান অশ্বিন
আসলে তদন্ত যতই গভীরে প্রবেশ করছে, ততই উঠে আসছে বিভিন্ন চাঞ্চল্যকর তথ্য। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মধ্যপ্রদেশের খান্ডোয়ায় ধৃত জঙ্গিচক্রের মাথা কুরেশিকে ট্রানজিট রিমান্ডে কলকাতায় নিয়ে এসেছে এসটিএফ।
বুধবার আদালতে পেশ করা হলে ২৩ জানুয়ারি পর্যন্ত তাকে পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়। তদন্ত রিপোর্ট বলছে, দীর্ঘদিন ধরেই আইএস জঙ্গিগোষ্ঠীর সঙ্গে সক্রিয় যোগাযোগ ছিল এই আব্দুল রকিব কুরেশির। সাদ্দাম এবং তার সঙ্গী সইদের মগজধোলাই করত সে। তারই পরিকল্পনায় তৈরি হত জঙ্গিগোষ্ঠীর স্লিপার সেল। সাদ্দামের প্রতিটি পদক্ষেপ নিয়ন্ত্রিত হত কুরেশিরই অঙ্গুলিহেলনে। মডিউল চালানোর ব্যাপারে তারই নির্দেশের অপেক্ষায় থাকত সাদ্দাম। নিয়োগ এবং প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রেও নিয়মিত পরামর্শ দিত কুরেশি।
আরও পড়ুন-শেষ চারে ম্যান ইউ
গোয়েন্দাদের জেরায় সাদ্দাম স্বীকার করেছে, ২০১৯-এ ৮ মাসের জন্য নয়ডায় গিয়ে ৩ জনের মগজধোলাই করেছিল সে। গত সপ্তাহে হাওড়ায় কলকাতা পুলিশের এসটিএফের হাতে ধরা পড়েছিল সাদ্দাম এবং কুরেশি। এরপরে মধ্যপ্রদেশের খান্ডোয়ায় ধরা পড়ে নাটের গুরু কুরেশি। গোয়েন্দারা মনে করছেন, ধৃতদের লাগাতার জেরা করে এবং তাদের কাছ থেকে পাওয়া নথিপত্র দেখে তাদের জঙ্গিযোগের প্রমাণ ক্রমশ স্পষ্ট হচ্ছে।