সংবাদদাতা, শিলিগুড়ি : কাজ করতে চান। থাকতে চান শ্রমিকদের পাশে। তাই সিটু ছেড়ে আইএনটিটিইউসিতে যোগ দিলেন বর্ষীয়ান নেতা রবীন রাই। তিনি সিপিএমের রাজ্য কমিটির সদস্যও ছিলেন। তাঁর যোগদান বুঝিয়ে দিল উন্নয়ন শুধু সম্ভব তৃণমূল কংগ্রেসেই। শুক্রবার শিলিগুড়িতে রাজ্যের পূর্ত আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক ও আইএনটিটিইউসির রাজ্য সভাপতি ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়-এর হাত থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের (Trinamool Congress) পতাকা তুলে নেন রবীন রাই।
পতাকা হাতে তুলে নিয়ে তিনি বলেন, ‘‘আমি চা-বাগানের ছেলে। এখানেই আমার জন্ম। কলেজে পড়তে পড়তেই চা-শ্রমিকদের জন্য আন্দোলন শুরু করেছিলাম। চা-বাগানের পরিস্থিতি খুব খারাপ ছিল। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, আমাদের দিদি চা-বাগানের উন্নয়ন করেছেন। চা-শ্রমিকদের সুযোগ-সুবিধা দিয়েছেন।” মন্ত্রী মলয় ঘটক বলেন, ‘‘রবীন রাই একজন বর্ষীয়ান নেতা। পাহাড়ের মানুষের কাছে তাঁর গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। তাঁর যোগদানে আমাদের হাত শক্ত হল। মূলত শ্রমিক সংগঠনে যোগদান করলেও তিনি দলীয় কাজেও থাকবেন।” এদিন রবীন রাইয়ের সঙ্গে চা-বাগানের বহু শ্রমিক তৃণমূল কংগ্রেসে (Trinamool Congress) যোগদান করেন। কালিম্পং থেকে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেন ছিরিং শেরপা।
আরও পড়ুন – করোনা পরীক্ষার খরচ কমল রাজ্যে
এই ঐতিহাসিক যোগদানের উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের অনগ্রসর কল্যাণ দফতরের মন্ত্রী বুলু চিক বাড়াইক, প্রাক্তন মন্ত্রী গৌতম দেব, রাজ্যসভার সাংসদ শান্তা ছেত্রী, আইএনটিটিইউসি দার্জিলিং জেলা সভাপতি নির্জল দে ও দার্জিলিং জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের চেয়ারম্যান অলক চক্রবর্তী। রবীন রাই চা-বাগান আন্দোলনের এক বড় মাপের নেতা। ৮০ দশক থেকেই শ্রমিকদের জন্য বহু আন্দোলন করেছেন তিনি। অবিভক্ত চা-বাগানের শ্রমিকদের জন্য নেতৃত্ব দিয়েছেন। এমনকী একসময় সিপিআইএমের রাজ্য কমিটির সদস্য ছিলেন তিনি। কিন্তু রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চা-শ্রমিকদের জন্য যা কাজ করছেন তা দেখেই তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করার আগ্রহ প্রকাশ করেন।