শীতে সুস্থ থাকুক ত্বক সঙ্গে মনও

শীত মানেই জবুথবু শরীর এবং মন। এই সময় রুক্ষ ত্বকের সমস্যা তো রয়েছেই সেই সঙ্গে অবসাদেও ভোগেন অনেকেই যাকে বলে উইন্টার ব্লুজ। শীতের আনন্দ, হইহই-এর মাঝে কেন এমন ছেদ! এই ঋতুতেও সুস্থ থাকুক ত্বক সঙ্গে মনও। রইল তার নানান উপায়, সঙ্গে বিশেষজ্ঞের পরামর্শও। লিখেছেন শর্মিষ্ঠা ঘোষ চক্রবর্তী

Must read

এবছর বেশ জাঁকিয়ে শীত পড়েছে। আরও বেশ কিছুদিন এই ঠান্ডার রেশ থাকবে। কথায় বলে মাঘের শীত বাঘের গায়। সংক্রান্তি যেতে না যেতেই যেন পারদ ঊর্ধ্বে। দিনে মাঝে মধ্যে একটু গরম লাগলেও রাতে লেপ-কম্বলই ভরসা। শীতে যেহেতু জলীয় বাষ্পের পরিমাণ একেবারে কমে যায় ফলে ত্বক শুষ্ক, রুক্ষ, খসখসে হতে শুরু করে। হাতের চামড়া ফাটে, পায়ের নিচে গোড়ালি ফেটে যায়, ঠোঁট ফাটে, চুলকানি বা ইচিং হয়, অনেকের, মুখে চামড়া ওঠে, ঠান্ডায় হাত পায়ের আঙুল ফুলে লাল হয়ে যায়। তৈলাক্ত বা সাধারণ ত্বকে (Skin) যেমন সমস্যা একটু কম হলেও শুষ্ক ত্বকে (Skin) তার চেয়ে সমস্যা বেশি হয়। কী কী করবেন

ত্বক (Skin) থাকুক হাইড্রেটেড
শীতে ত্বক সুস্থ রাখতে প্রথমেই যেটা দরকার তা হল ভিতর থেকে ত্বককে হাইড্রেটেড রাখা। রুক্ষ আবহাওয়ায় ড্যামেজ হওয়ার থেকে ত্বক (Skin) বাঁচাতে আর্দ্রতা ধরে রাখা অপরিহার্য শর্ত তার সঙ্গে ডিটক্সিফিকেশন।
এর জন্য, প্রথমেই যেটা জরুরি তা হল সারাদিনে তিন থেকে চার লিটার জল খাওয়া। শীতে জলপিপাসা কমে যায়। জল শরীরকে টক্সিনমুক্ত করবে এবং আপনি হাইড্রেটেড থাকবেন।

ডিটক্স সঙ্গে হাইড্রেশনও
কমলা, আদা, গাজরের জ্যুস। কমলালেবুতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং গাজরে বিটা ক্যারোটিন এবং আদায় স্টমাক ক্রাম্প, ব্লটিং কমাতে অনবদ্য এবং প্রদাহনাশক গুণ। সবমিলিয়ে জম্পেশ ডিটক্স এবং হাইড্রেটিং ড্রিঙ্ক শীত সকালের বন্ধু। এতে ত্বক (Skin) ভিতর থেকে সতেজ হয়ে উঠবে।

হলদি দুধ
রাতে শোবার আগে একগ্লাস গরম দুধে একচিমটে হলুদ মিশিয়ে খেয়ে শুয়ে পড়ুন। সারারাত ধরে দুধ শরীরকে হাইড্রেটেড রাখবে পাশাপাশি হলুদের রয়েছে অ্যান্টিইফ্লামেটরি, অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল গুণ। হলুদের এই থেরাপিউটিক উপাদান শরীরকে চাঙ্গা, সুস্থ তরতাজা রাখতে সাহায্য করবে ফলে ত্বক ভিতর থেকে উজ্জ্বল হয়ে উঠবে কারণ রাতে শোবার পর ত্বক (Skin) সক্রিয় থাকে অনেক বেশি তাই কাজ বেশি হয়।

যা না করলে সব যত্ন মাটি
ক্লেনজিং, এক্সফলিয়েটিং, টোনিং, ময়েশ্চারাইজিং। এটাই ত্বক ভাল রাখা একমাত্র টিপস। সারাবছর তো বটেই বিশেষ করে শীতকালে। রোজ অন্তত দিনে দুবার কোন মাইল্ড ক্লেনজার দিয়ে ত্বক পরিষ্কার করে নিন। কাঁচা দুধ খুব ভাল ঘরোয়া ক্লেনজার। দুধ দিয়ে মুখ ধুতে পারেন। সঙ্গে আধটুকরো বাসি রুটি মিশিয়ে চটকে মেখে নিলে ধোয়ার পর তাক লেগে যাবেই। এই টোটকা কিন্তু সারা গা হাত পায়ের জন্য দারুণ। আর কোনও যত্ন লাগবে না বিশেষ।
এরপর এক্সফলিয়েশন অর্থাৎ স্ক্রাবিং। যাদের ত্বক (Skin) এমনিতেই শুষ্ক তারা সপ্তাহে একদিন কী দুদিন ডেডসেল রিমুভ করবেন কারণ স্ক্রাবিং ত্বক ড্রাই করে দেয়। তৈলাক্ত বা সাধারণ ত্বকে তিনদিন সপ্তাহে করা যেতে পারে। এরপর একটা টোনার মুখে স্প্রে করুন। অরেঞ্জ, নিম, কিউকাম্বারের জ্যুস খুব ভাল টোনিং-এর কাজ করে। বাজারচলতি অরেঞ্জ, নিম ইত্যাদি টোনার নিতে পারেন।
এরপর ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার। ময়েশ্চারাইজারে অল্প জল মিশিয়ে মুখে সার্কুলার মোশনে ম্যাসাজ করুন ধীরে পুরো ক্রিম মুখ অ্যাবজর্ব করে নেবে।

ফাইন লাইনস নেই
বয়স কি পঁচিশ পেরিয়েছে ? তাহলেই অ্যান্টিএজিং ক্রিম আর সেরাম মাস্ট। কারণ এই সময় থেকে ফাইন লাইনস প্রকট হয়। এইসব ক্রিম ত্বককে রিপেয়ার করবে পাশাপাশি আর্দ্র রাখবে। ভিতর থেকে ত্বকে শুষ্কভাব দূর করবে। শীতে ত্বক বেশি রুক্ষ থাকে বলে বয়সের ছাপ প্রকট হয়ে যায় কারণ কপালে, নাকে, হাত-পায় একটা কুঁচকানো ভাব আসে ফাইন লাইনসগুলো প্রকট হয়ে যায়। অ্যান্টিএজিং ক্রিম এই ফাইন লাইনসগুলো হালকা করে। শীতে যেটা বাড়তে দিলেই বিপদ।
যাদের ড্রাই স্কিন অবশ্যই হেভি ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন। মাখন দিয়ে মুখ ম্যাসাজ করতে পারেন আলতো হাতে।

তেলে-জলে
শরীরের তেল আর জলের কম্বিনেশন অনবদ্য। এ তো প্রাচীন টোটকা। খুব দূরে হাত বাড়াতে হবে না রান্নাঘরে খাঁটি সরষের তেল থাকলেই ত্বক (Skin) সুস্থ। সরষের তেলে রয়েছে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড এবং ভিটামিন-ই। যা শরীরকে প্রয়োজনীয় পুষ্টির জোগান দেয়। রোগ প্রতিরোধ শক্তি বৃদ্ধি করে। শ্লেষ্মা, সাইনাস, শীতকালীন সর্দি-কাশি ঠান্ডা লেগে যাওয়া এক্কেবারে গায়েব। স্নানের আগে একটু সরষে তেল গরম করে ম্যাসাজ করে নিন।
আর্গান অয়েল ত্বকের জন্য দারুণ উপকারী। এই তেলকে বলে লিকুইড গোল্ড। আর্গান অয়েল ত্বকে হাইড্রেশনকে একেবারে লক করে দেয়। নন কমোডজেনিক তাই পোরস ব্লক করে না। এই তেলের সঙ্গে গোলাপজল মিশিয়ে নিন। গোলাপ জলের পরিমাণটা বেশি হবে। স্প্রে বোতলে ভরে রেখে দিন। সারাদিন তিনচারবার স্প্রে করুন। এই তেলে রয়েছে ভিটামিন ই, ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। ড্রাই স্কিন নয় সবধরণের ত্বকের জন্য দারুণ ভাল। যে কোনও ক্রিমের সঙ্গে মিশিয়ে নিন।

আরও পড়ুন: জোর করে টিকা নিতে বাধ্য করা যাবে না, জানাল দিল্লি হাইকোর্ট

হাত-পা কালচে, খসখসে
শীতে সবচেয়ে বেশি খারাপ দশা হয় হাত এবং পায়ের। খুব শুষ্ক, খসখসে নিষ্প্রভ হয়ে যায়। হাত এবং পায়ের চামড়াতে বার্ধক্য আসে দ্রুত। তাই এই সময় স্ক্র্যাব করুন রোজ। চিনি আর অলিভ অয়েল মিশিয়ে স্ক্রাবিং করুন। অলিভ অয়েলে আছে ফ্যাটি অ্যাসিড এবং ভিটামিন-ই। যা ত্বককে হাইড্রেশন দেবে, রুক্ষতা রোধ করবে।
হাত ও পায়ের ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে কফি খুব উপকারী। কফির গুঁড়োর সঙ্গে নারকেল তেল মিশিয়ে সারা গায-হাত-পায়ে স্ক্রাবিং করুন। সঙ্গে অল্প ব্রাউন সুগার মেশানো যেতে পারে।
একদম সময় নেই হাতে গরম জলে পা হাত ডুবিয়ে রাখুন পাঁচ মিনিট তারপর মুছে নিয়ে প্লেন টকদই নিয়ে প্রথমে হাতে ম্যাসাজ করুন তারপর পায়ে। পাঁচ মিনিট রাখুন এবার ওই গরম জলে ধুয়ে ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নিন।

ফাটা গোড়ালি
শ্যাম্পু আর গোটা একটা লেবু চিপে সেই জলে পনেরো মিনিট হাত-পা ডুবিয়ে রেখে তুলে নিন। এবার পা ঘষা বা পিউমিস স্টোন দিয়ে ঘষে নিন। এবার জল থেকে পা বের করে ভাল করে মুছে দিন। ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নিন।

ঠোঁটের যত্ন নিন
মধু একচামচ সঙ্গে পেট্রোলিয়াম জেলি মিশিয়ে ঠোঁটে লাগিয়ে রাখুন।
পনেরো মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে তিনদিন করুন শীতে। তুলো দিয়ে পরিষ্কার করে নিন। অলিভ অয়েল এবং গ্লিসারিন মিশিয়ে হালকা ম্যাসাজ করলেও শীত জুড়ে ময়েশ্চার লক থাকবে ডেডসেল আপনার ঠোঁটে।
এই সময় যখনই লিপকালার ব্যবহার করবেন একটু ময়েশ্চার রয়েছে এমন কিছু বেছে নিন। ড্রাই ম্যাট শীতে দারুণ ফিনিশিং দিলেও ঠোঁট খুব ড্রাই আর ফ্লেকি হয়ে যায়। যদি ড্রাই ম্যাট লিপস্টিক অ্যাপ্লাই করেন তাহলে আগে একটু পেট্রোলিয়াম জেলি লাগিয়ে তারপর পরুন দেখবেন ঠোঁটের লুক খুব আরামদায়ক থাকছে এবং লিপস্টিক স্টে করছে অনেকক্ষণ।

শীতে অনেকেই অবসাদে ভোগেন যার বিশেষ কোনও কারণ নেই। কী বলছেন বিশেজ্ঞরা।

উইন্টার ব্লুজ কেন হয়

ডাঃ শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী
কনসালটেন্ট সাইকিয়াট্রিস্ট

সিজন বা ঋতুর কারণে যে ডিজঅর্ডার হয় তাকে বলা হয় সিজনাল এফেক্টিভ ডিজঅর্ডার একে উইন্টার ব্লুজও বলে। এটা মূলত সূর্যের আলোর অভাবজনিত কারণেই হয়। শীতকালে বা যে সব জায়গায় দিন কম রাতের বেশি বরফ পড়ে সেই সব জায়গার মানুষের মধ্যে বেশি দেখা যায়। আমাদের দেশেও কম বেশি এই সিজনাল ডিপ্রেশন হয় মূলত পাহাড়ি এলাকাতে যেখানে খুব ঠান্ডা, অনেকটা সময় সূর্যের দেখা মেলেনা সেখানে। সিজনাল এফেক্টিভ ডিজঅর্ডার এখন নামটা বদলে হয়েছে ডিপ্রেসিভ ডিজঅর্ডার উইথ সিজনাল চেঞ্জ।
আসলে অনেক মানসিক রোগই শীতকালে বেড়ে যায় যেমন— স্কিৎজোফ্রেনিয়া, বাইপোলার ডিজঅর্ডার ইত্যাদি। অনেক মানুষকেই দেখা যায় বিছানা ছেড়ে উঠতে চাইছেন না। মিষ্টি খাবার ক্রেভিং হয়। কার্বোহাইড্রেট খাবার প্রবণতা বাড়ে। বেশি খিদে পায়। ফলে ওজন বাড়তে থাকে। জামাকাপড় টাইট হয়ে যায়। কার্ব ক্রেভিং হয়। ঘুম খুব বেড়ে যায়। ফলে কিছু কিছু মানুষের একটা সময় মনে হয় আর কিছুই ভাল লাগছে না শুধুই শুয়ে থাকি। সিজনাল এফেক্টিভ ডিজঅর্ডার পুরুষের তুলনায় মহিলাদের অনেক বেশি হয়।
আসলে শীতঋতুতে মস্তিষ্কে সেরাটনিন হরমোনের মাত্রা কমে যায়। তবে এটা ভাবলে ভুল হবে যে শুধু সেরাটনিন হরমোনের কারণেই সিজনাল ডিপ্রেশন হয়। অনেক সময় এই সময় থাইরয়েড হরমোন বেড়ে গেলেও ডিপ্রেশন বেড়ে যায়। অথবা দেখা গেল সূর্যের আলোর সংস্পর্শে না থাকার জন্য হাইপোভিটামিনোসিস হয় বা যাকে বলে ভিটামিন ডি অনেকটা কমে গেল ফলে ডিপ্রেশন দেখা দেয়।
এর ফলে বেশি খাওয়া, বেশি ঘুমনো, বডি ক্লকের একটা চেঞ্জ হয়। দেখা যায় সারারাত জাগছে এবং সারাদিন ঘুমোচ্ছে। বিশেষত স্টুডেন্টদের এমনটা হয়। তখন সমস্যা হয়। যদিও এই ধরনের ডিপ্রেশন পশ্চিমি দেশগুলোয় স্ক্যান্ডেনেভিয়ান কান্ট্রিজে— দিনের আলো যেখানে খুব কম রাতটাই বেশি অথবা খুব বরফ পড়ে যে সব জায়গায়, সেখানেই বেশি দেখা যায়।
বাইপোলার ডিজঅর্ডার যাঁদের রয়েছে অর্থাৎ যাঁদের মুড হয় খুব হাই অথবা লো-তে থাকে। কখনও খুব উত্তেজিত হয়ে গেল আবার কখনও খুব ডিপ্রেশনে চলে গেল। তাঁদের শীতের প্রভাবে ডিপ্রেসিভ ডিজঅর্ডারটা খুব বেশি হয়ে যায়। সেক্ষেত্রে চিকিৎসা একদম আলাদা।
সিজনাল এফেক্টিভ ডিজঅর্ডারের সবচেয়ে কার্যকরী চিকিৎসা হল লাইট থেরাপি। অর্থাৎ লাইটের এক্সপোজারের মাধ্যমে চিকিৎসা। এর একটা নির্দিষ্ট দিন ও নিয়ম আছে। এর জন্য আলাদা আলো পাওয়া যায়।
এরপর ভিটামিন ডি ট্যাবলেট দিয়েও চিকিৎসা করা হয়। কারণ ভিটামিন ডি ডেফিশিয়েন্সি থাকলে খুব সম্ভাবনা থাকে ডিপ্রেশন হবার।
এস এস আর আই বা অ্যান্টি ডিপ্রেশন্ট জাতীয় ওষুধ খুব কার্যকরী চিকিৎসা। এই ওষুধ মস্তিষ্কে সেরাটনিন লেভেল বাড়িয়ে দেয়।
এক্সারসাইজ, রোদে মর্নিংওয়াক, ইভনিংওয়াক খুব ভাল। এক্ষেত্রে সঠিক খাওয়া-দাওয়া অর্থাৎ লো কার্ব ডায়েট, শীতের সবজি, ফল প্রচুর খাওয়া দরকার।
এরপরেও যদি সমস্যা না কমে তখন কাউন্সিলিং ও থেরাপির দিকে যেতে হবে। কগনিটিভ বিহেভিয়ারাল থেরাপি বা সিবিটি করলে উপকার পাওয়া যেতে পারে।

ডাঃ রিমা মুখোপাধ্যায়
মনোবিদ

শীতকালে কী করে ভাল থাকবেন

এমন অনেকেই আছে শীতের ঠান্ডাটা যাঁরা পছন্দ করেন না। এনজয় করেন না। লেপ-কম্বলে ঢুকে আর বেরতে চান না। রোজকার রুটিনের দফারফা হয় কিন্তু কিছু করার থাকে না। এই সময় জোর করে উঠতে হবে। বেরিয়ে পড়তে হবে। একটু হেঁটে এলেও কষ্ট হবে না।
তারপর একটু গান অথবা বা মিউজিকাল ইন্সট্রুমেন্ট শোনা যেতে পারে। ঘুম থেকে উঠে নিজের সঙ্গে থাকা। পছন্দের কাজগুলো করা।
দিনের একটা নির্দিষ্ট সময় রোদের সংস্পর্শে আসা। ঘুম থেকে উঠেই মোবাইল নয়। ডিপ্রেশন কমাতে শীতের সেলিব্রেশনগুলোয় অংশ নিন।
নিজেকে প্যাম্পার করুন, নিজের ভাল লাগাগুলোকে গুরুত্ব দিন। অফিস থাকলে অবশ্যই কাজের মধ্যে ব্যস্ত থাকুন।
এমন কিছু না দেখা যাতে তার মনখারাপ হয়। ধরে নেওয়া যাক বাড়িতে কারও ডিমেনশিয়া আছে এবার যদি সেই ব্যক্তি এমন একটা সিনেমা দেখল যেখানে কারও ডিমেনশিয়া রয়েছে তাহলে তার ডিপ্রেশন আসবে কাজেই আমরা কী করছি সেটা খুব গুরুত্বপূর্ণ।
শীতে সকালে, সন্ধেবেলা শাওয়ার নিলে ফিলগুড ফিলিং হয়। অনেকেই শীতে স্নান বাদ দিয়ে দেন এটা ডিপ্রেশনের বড় কারণ। একটা জিনিস— শীতে যার মনখারাপ তার কিন্তু নতুনগুড় ভাল লাগে, কড়াইশুঁটির কচুরি ভাল লাগে, কেক ভাল লাগে— তার মানে সবটা খারাপ লাগা নয় তাই শীতে অলসতা ত্যাগ এবং ভাল থাকার জন্য মানসিক প্রস্তুতি খুব জরুরি।

Latest article