নীলাঞ্জন ভট্টাচার্য : শিক্ষাবিস্তারের আধুনিকতায় এখন পরস্পরকে টেক্কা দেওয়ার পালা। আর এই টেক্কা দেওয়ার খেলায় এখন পিছিয়ে নেই কলকাতা পুরসভার স্কুলও। ধাপার হাটগাছিয়ার ‘বিদ্যাসাগর প্রাথমিক বিদ্যালয়’ (Vidyasagar Primary School) তারই উজ্জ্বল প্রমাণ। কলকাতা পুরসভার আন্তরিক উদ্যোগে একদিন প্রায় হারিয়ে যেতে বসা এই প্রাথমিক বিদ্যালয়টির ‘স্মার্ট ক্লাস’ এখন প্রকৃত অর্থেই এক বিস্ময়। ব্ল্যাকবোর্ড বা চক-ডাস্টার নয়, দেওয়ালে এখন শোভা পাচ্ছে স্মার্ট এলইডি স্ক্রিন। স্কুলের সামনে সবুজের সমারোহ, সঙ্গে দোলনাও। রয়েছে মনের মতো খেলনাও। সবুজ শিশুমনের বিকাশে এর থেকে উপযোগী পরিবেশ আর কীই বা হতে পারে! এই মডেলই ধীরে ধীরে পুনরুজ্জীবনের পথ দেখাবে শহরের ঝিমিয়ে-পড়া পুরসভার স্কুলগুলিকে। ধাপে ধাপে এই স্কুলগুলিকে রূপান্তরিত করা হবে ইংলিশ মিডিয়ামে। লাখো টাকা খরচ করে আর বাচ্চাদের নিয়ে দৌড়তে হবে না নামীদামি কনভেন্ট স্কুলে। কিংবা অর্থের অভাবে আর অপূর্ণ থাকবে না অভিভাবকদের স্বপ্ন।
আরও পড়ুন: অধ্যাপনা থেকে ছুটি ব্রাত্যব্রত বসুর
হাটগাছিয়ার এই স্কুলবাড়ির (Vidyasagar Primary School) নোনাধরা দেওয়াল কিংবা স্যাঁতসেঁতে পরিবেশে সত্যিই পড়াশোনায় আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছিল অনেক শিশু। বাড়ছিল স্কুলছুটের সংখ্যা। এই পরিবেশ থেকে মুক্তির পথ খুঁজতেই নতুন ধারণায় নতুন আঙ্গিকে স্কুলটিকে বিকশিত করার পরিকল্পনা নেয় পুরসভার শিক্ষা দফতর। পড়ুয়াদের মধ্যে আগ্রহ জাগিয়ে তুলতে এগিয়ে আসেন মহানাগরিক ফিরহাদ হাকিম স্বয়ং। রঙিন এবং স্মার্ট পদ্ধতিতে এমনভাবে পড়াশোনার উদ্যোগ নেওয়া হয় যাতে স্কুলছুটরা আবার হয়ে ওঠে স্কুলমুখী। শিক্ষাবিভাগের মেয়র পারিষদ সন্দীপন সাহা জানিয়েছেন, পুরসভার প্রতিটি স্কুলবাড়ির সংস্কার করে দোতলা সম্প্রসারণের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। খুব অল্পদিনের মধ্যেই স্মার্ট হয়ে আত্মপ্রকাশ করবে এই স্কুলগুলি। টেক্কা দেবে নামী স্কুলকে। প্রাথমিক স্কুলশিক্ষায় সত্যিই এক নতুন দিগন্ত খুলে দিল পুরসভার এই উদ্যোগ।