প্রতিবেদন : শুক্রবার রাত থেকেই ভারী তুষারপাত চলছে হিমাচল প্রদেশের উচ্চতর অঞ্চল এবং উপজাতীয় অঞ্চলে। নিম্ন এবং মধ্য পাহাড়গুলিতে মাঝে মাঝে শিলাবৃষ্টি এবং বৃষ্টি হচ্ছে। স্থানীয় আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, ৪ এপ্রিল পর্যন্ত পরিস্থিতি প্রায় একইরকম থাকবে। ভারী তুষারপাতের কারণে মানালির কাছে রোহতাংয়ের অটল টানেলে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। কল্পা এবং কুকুমসেরিতে ৫ সেমি তুষার পড়েছে এবং কেলং-এ গত ২৪ ঘণ্টায় ৩ সেন্টিমিটার তুষার পড়েছে।
আরও পড়ুন-অবৈধ প্রেমের বৈধ ছবি
রাজ্য জরুরি অপারেশন সেন্টারের তথ্য অনুসারে, শুক্রবার রাতে রাজ্যে যানবাহন চলাচলের জন্য তিনটি জাতীয় মহাসড়ক-সহ মোট ১৬৮টি রাস্তা বন্ধ ছিল। এই রাস্তাগুলির বেশিরভাগই লাহুল এবং স্পিতি’র দুর্গম অঞ্চলে। শনিবার জরুরি তৎপরতায় ৯টি রাস্তা খোলা সম্ভব হলেও ১৫৯টি রাস্তা এখনও খোলা বাকি। হিমাচল রোডওয়েজ ট্রান্সপোর্ট কর্পোরেশনের একটি বাস শনিবার সকালে তুষারে পিছলে যাওয়ার পরে কিন্নর জেলার মালিং-এর কাছে যানবাহন চলাচল করছে শম্বুক গতিতে। রাজ্যের রাজধানী সিমলা এবং অন্যান্য কিছু জায়গায় বজ্রবিদ্যুৎ এবং দমকা বাতাসের সঙ্গে অবিরাম বৃষ্টিপাত চলছে। শিলাবৃষ্টির কারণে সোলানে যাতায়াত কঠিন করে তুলেছে।
স্থানীয় আবহাওয়া অফিস হিমাচলের ১২টি জেলার মধ্যে ৭টিতে বিচ্ছিন্নভাবে বজ্রপাত, শিলাবৃষ্টি, ভারী বৃষ্টি এবং দমকা হাওয়া (৪০-৫০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা) সহ বজ্রঝড়ের কমলা সতর্কতা জারি করেছে।