প্রতিবেদন : রাজ্যের প্রতিটি পরিযায়ী শ্রমিককে সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পের আওতায় আনতে চায় রাজ্য সরকার। সেজন্য রাজ্যের সমস্ত ব্লকের বিডিও-কে দ্রুত পরিযায়ী শ্রমিকের পূর্ণাঙ্গ তালিকা তৈরি করার নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। তাঁদের সকলকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, বাড়ি বাড়ি গিয়ে জানতে হবে পরিযায়ী শ্রমিক কেউ আছেন কি না। গত সেপ্টেম্বর মাসে দুয়ারে সরকার শিবিরে পরিযায়ী শ্রমিকদের নাম নথিভুক্তকরণের জন্য খোলা হয় ‘কর্মসাথী’ পোর্টাল।
আরও পড়ুন-সম্প্রীতির লক্ষ্মীপুজোর উদ্বোধনে সায়নী
রাজ্যের প্রায় ১৪ লক্ষ শ্রমিকের নাম তাতে তোলা হয়েছে। যাতে কোনও শ্রমিক বাদ না যান, সেজন্য এই তৎপরতা বলে নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে। আসলে রাজ্য সরকার চাইছে, বাইরে কাজে যাওয়া প্রত্যেক শ্রমিকের পূর্ণাঙ্গ তথ্য যাতে মাউসের এক ক্লিকেই জানা যায়। বিডিও অফিসগুলিতে নির্দেশ এসেছে, ১-১০ নভেম্বরের মধ্যে এই তালিকা তৈরি করতে হবে। নবান্ন থেকে জেলা প্রশাসনিক ভবনগুলিতে এই নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে। মুখ্যসচিবের নির্দেশ পেতেই জেলা থেকে ব্লক প্রশাসনের মধ্যে জোর তৎপরতা শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন-চাপে পড়ে উপাচার্যের কৈফিয়ত তলব বোসের
নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, পরিযায়ী শ্রমিকদের পূর্ণাঙ্গ তথ্য পেতে রাজ্যের প্রত্যেক জেলার প্রতিটি ব্লকে একজন নোডাল অফিসার রাখা হবে। নোডাল অফিসারদের নেতৃত্বে গ্রাম পঞ্চায়েত অফিস ও ব্লক প্রশাসনের অফিসাররা থাকবেন। এছাড়াও ডেঙ্গি মোকাবিলায় গ্রাম পঞ্চায়েতের তরফে নিযুক্ত ভেক্টর সার্ভে টিমের (ডিএসটি) সদস্যরাও পরিযায়ী শ্রমিকদের চিহ্নিতকরণের কাজ করবেন। ব্লকগুলিকে জেলা প্রশাসন থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, ১০ নভেম্বরের মধ্যে পরিযায়ী শ্রমিকদের ডেটাবেস তৈরি করে তা জেলা শাসকের অফিসে জমা দিতে। কারণ, সেপ্টেম্বর মাসে দুয়ারে সরকার কর্মসূচিতে পরিযায়ী শ্রমিকদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা তৈরি করা যায়নি। রাজ্য সরকার চাইছে, দ্রুত সমস্ত পরিযায়ী শ্রমিকের ডেটাবেস হাতের কাছে রাখতে। প্রয়োজনে বাড়ি বাড়ি পৌঁছে এই তালিকা তৈরি করতে হবে। মূল উদ্দেশ্য, যাতে একজনও পরিযায়ী শ্রমিকের নাম তালিকা থেকে বাদ না যায়।