চাপে পড়ে উপাচার্যের কৈফিয়ত তলব বোসের

রাজ্যপাল এবং বিশ্বভারতীর উপাচার্য দু’জনেই বিজেপির তল্পিবাহক। কিন্তু চাপে পড়ে বিশ্বভারতীর উপাচার্যের কাছে কৈফিয়ত চাইতে বাধ্য হলেন রাজ্যপাল।

Must read

প্রতিবেদন : একেই বলে ধর্মের কল বাতাসে নড়ে। রাজ্যপাল এবং বিশ্বভারতীর উপাচার্য দু’জনেই বিজেপির তল্পিবাহক। কিন্তু চাপে পড়ে বিশ্বভারতীর উপাচার্যের কাছে কৈফিয়ত চাইতে বাধ্য হলেন রাজ্যপাল। উপাচার্যকে চিঠি দিয়ে জানতে চাইলেন, কেন ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ নাম ফলকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাম দেওয়া হয়নি। স্বাভাবিকভাবেই প্রচণ্ড চাপে মুখে পড়েছেন উপচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। কারণ বৃহস্পতিবারই কবিগুরুর নাম বাদ পড়ায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

আরও পড়ুন-জল-প্রকল্পের নামে ভাঁওতা, কল থেকে বেরোচ্ছে হাওয়া!

হাইকোর্টও এর আগে উপাচার্যকে সরিয়ে দেওয়ার কথা বলেছে। গত ১৭ সেপ্টেম্বর রিয়াধ কনফারেন্সে শান্তিনিকেতনকে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ ঘোষণা করে ইউনেস্কো। এরপরই বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর উদ্যোগে পুজোর ছুটির আগে ওয়ার্ল্ড ‍‘হেরিটেজ’ লেখা তিনটি ফলক বসানো হয় শান্তিনিকেতনে। সেই ফলকে নেই স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাম! পরিবর্তে জ্বলজ্বল করছে আচার্য হিসেবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর নাম। এমন ঘটনায় ক্ষোভে ফেটে পড়েন বিশ্বভারতীর প্রাক্তনী, আশ্রমিক ও রবীন্দ্র অনুরাগীরা। অভিযোগ জানানো হয়েছে প্রধানমন্ত্রী, কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ও রাজ্যপালকে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও সাংবাদিক বৈঠকে জানিয়ে দেন, রবীন্দ্রনাথকে ব্রাত্য করে যে ফলক লাগানো হয়েছে, তা সরানো না হলে আন্দোলন হবে।

আরও পড়ুন-ইউপি’র ডবল ইঞ্জিন, জীবন্ত পোড়ানো হল নাবালিকাকে

শুক্রবার শান্তিনিকেতনে আন্দোলন শুরু করে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। ফলক-বিতর্কে বিশ্বভারতীর উপাচার্যকে নিশানা করেন বিজেপি নেতা তথা অধ্যাপক অনুপম হাজরাও। এবার রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস উপাচার্যের কাছে জানতে চাইলেন, গুরুদেব বাংলা, ভারত ও সমগ্র মানবতার কাছে শ্রেষ্ঠত্ব ও মর্যাদার প্রতীক। কেন ফলকে অনুপস্থিত রবীন্দ্রনাথ? চাপের মুখে পড়ে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের সাফাই, ‍‘ফলক অস্থায়ী’!

Latest article