প্রতিবেদন : দ্রুত সমাপ্তির পথে নিউটাউনের বিস্ময় ‘সোলার ডোম’। কয়েক মাসের মধ্যেই এটির একাংশ চালু করে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। পূর্ণাঙ্গরূপে ‘সোলার ডোম’ আত্মপ্রকাশ করতে চলেছে চলতি বছরেই। হিডকো এবং পশ্চিমবঙ্গ বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থা বা ডব্লুবিএসইডিসিএল-এর যৌথ উদ্যোগে এই প্রকল্পের নির্মাণকাজ শুরু হয়েছিল ২০১৭-র ফেব্রুয়ারিতে। ইকোপার্কের হার্বাল গার্ডেনের খুব কাছেই এই সোলার ডোমের বৈশিষ্ট্য কী? কীই বা তার আকর্ষণ?
আরও পড়ুন-বাংলার মতোই বাদ তামিলনাড়ুর ট্যাবলো মোদিকে চিঠি মুখ্যমন্ত্রী স্ট্যালিনের
২৭ মিটার উচ্চতার এবং ৪৫ মিটার ব্যাসের এই সৌর গম্বুজের মাথায় থাকছে সবমিলিয়ে ২০০০টি সোলার প্যানেল। সারাটা দিন ধরে সূর্যের আলো থেকে এখানে তৈরি হবে প্রচুর পরিমাণে সৌরবিদ্যুৎ। পূরণ হবে সোলার ডোমের নিজস্ব এবং আশপাশের বিশাল এলাকার রাস্তাঘাট, অফিস-কাছারি এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে বিদ্যুতের চাহিদা। এখানেই শেষ নয়, সোলার ডোমের ভেতরে তিনটি তলা জুড়ে থাকছে নানারকমের প্রদর্শনীর ব্যবস্থা। স্পাইরাল র্যাম্প দিয়ে দর্শনার্থীরা উঠবেন উপরে। ফের একতলায় নেমে আসবেন সেন্ট্রাল লিফটে। উপভোগ করবেন বিশ্ব উষ্ণায়ণ-সহ নানা বিষয়ে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি-সমৃদ্ধ প্রদর্শনী, আলোচনাচক্র।
অংশ নিতে পারবেন নিজেরাও। সবমিলিয়ে এক রোমাঞ্চকর অনুভূতির সুযোগ। ভেতরের অংশের অত্যাধুনিক সাজসজ্জার জন্য ইতিমধ্যেই চুক্তিবদ্ধ হয়েছে একটি পরামর্শদাতা সংস্থা। সবকিছু ঠিকঠাক চললে অন্তত একটি ফ্লোর কয়েকমাসের মধ্যেই দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া সম্ভব হবে বলে আশাপ্রকাশ করা হয়েছে উদ্যোক্তাদের পক্ষ থেকে।