সৌরশক্তিতে জল যাচ্ছে খয়রানি বস্তিবাসীর কাছে

প্রতিদিন সকালে ও সন্ধ্যায় জল সরবরাহ হচ্ছে বস্তিবাসীর জন্য। জলের তিনটি প্লান্ট থেকে প্রতিদিন ২ হাজার লিটার করে জল সরবরাহ করা হয়ে থাকে।

Must read

সংবাদদাতা, শিলিগুড়ি : কথা রাখলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর উদ্যোগে সোলার প্যানেলের মাধ্যমে পানীয় জল পৌঁছে গেল গুলমা জঙ্গলের পাশে খয়রানি বস্তিতে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে এখন আর পানীয় জল সমস্যায় ভুগতে হচ্ছে না খয়রানি বস্তিবাসীকে। শিলিগুড়ির অদূরে গুলমা জঙ্গলের ধারে অবস্থিত খয়রানি বস্তি। প্রায় ৩০০ পরিবারের বস্তি এই এলাকায়।

আরও পড়ুন-রুবেলা ভ্যাকিসন নিয়ে বৈঠক

এলাকার মানুষ গুলমা চা-বাগানের জলের ট্যাংকারের উপরে নির্ভরশীল হয়ে পড়েছিল। আবার কখনো দীর্ঘ দুই কিলোমিটার পথ পায়ে হেঁটে মহানন্দা নদী থেকে জল ভরে আনত। পানীয় জলের দীর্ঘ সমস্যার কথা সিএডিসির চেয়ারম্যান অলক চক্রবর্তীর মাধ্যমে পৌঁছয় মুখ্যমন্ত্রীর কাছে। গত মে মাসের ২০ তারিখে খয়রানি বস্তির তিনটি জায়গায় সোলার প্যানেলের মাধ্যমে পানীয় জল সরবরাহের উদ্যোগ নেয় শিলিগুড়ি মহাকুমা পরিষদ। এদিন সেখানে সরকারিভাবে পানীয় জল সরবরাহের বোর্ড লাগানো হয়েছিল। খয়রানি বস্তির তিনটি জায়গাতেই সোলার প্যানেলের মাধ্যমে পানীয় জল সরবরাহের কাজ শুরু হয়ে গেছে।

আরও পড়ুন-তফসিলি জাতি-উপজাতি উন্নয়নে বিশেষ উদ্যোগ

প্রতিদিন সকালে ও সন্ধ্যায় জল সরবরাহ হচ্ছে বস্তিবাসীর জন্য। জলের তিনটি প্লান্ট থেকে প্রতিদিন ২ হাজার লিটার করে জল সরবরাহ করা হয়ে থাকে। প্রতিটি প্লান্ট বসাতে খরচ হয়েছে ৫ লক্ষ ৫ হাজার টাকা। হাতের কাছে পানীয় জল পেয়ে খুশি বস্তিবাসী। সিডিসির চেয়ারম্যান অলক চক্রবর্তী বলেন, স্বাধীনতার কয়েক দশক পরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে খয়রানি বস্তিতে পানীয় জলের তিনটি প্লান্ট বসানো সম্ভব হয়েছে। তারা চা-বাগানের জলের উপরে নির্ভরশীল ছিল যা মাঝেমধ্যে আসত জল দিতে। আবার কখনও মহানন্দা নদী থেকেও পায়ে হেঁটে জল ভরে আনতে হত। এখন এই বস্তিবাসীর সমস্যা দূর হয়েছে তারা খুশি।

Latest article