দোহা, ৮ ডিসেম্বর : বৃহস্পতিবার দুপুরের মধ্যে দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়েছিল খবরটা। একটি পর্তুগিজ সংবাদমাধ্যমের দাবি, সুইজারল্যান্ড ম্যাচের প্রথম দল থেকে বাদ পড়ে রোনাল্ডো (Cristiano Ronaldo) কোচ ফের্নান্দো স্যান্টোসের উপর এতটাই চটে গিয়েছিলেন যে, বিশ্বকাপের মাঝপথেই দেশে ফিরে যাওয়ার হুমকি দেন! সতীর্থরা অনেক বুঝিয়ে তাঁকে শান্ত করেন।
এই খবর চাউর হতেই পর্তুগিজ শিবিরের অশান্তি নিয়ে ফের শুরু হয়ে গিয়েছিল চর্চা। কয়েক ঘণ্টা পরেই মুখ খোলেন স্বয়ং রোনাল্ডো। যাবতীয় জল্পনা উড়িয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর বার্তা, ‘‘বাইরের কিছু শক্তি একটা ঐক্যবদ্ধ দলকে ভেঙে দেওয়ার চেষ্টা করছে। তবে এই দলটা বাইরের কোনও শক্তিকেই ভয় পায় না। স্বপ্নপূরণের জন্য শেষ পর্যন্ত লড়াই চলবে। আমাদের উপর বিশ্বাস রাখুন।’’
এর আগে পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝে বিবৃতি দিতে বাধ্য হয়েছিল পর্তুগাল ফুটবল সংস্থাও। তাদের তরফে জানানো হয়, ‘‘একটি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন ছাপা হয়েছে, কোচ ফের্নান্দো স্যান্টোসের সঙ্গে ঝামেলার জেরে জাতীয় শিবির ছেড়ে ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো (Cristiano Ronaldo) দেশে ফিরতে চেয়েছিলেন। আমরা স্পষ্ট করে জানাচ্ছি, রোনাল্ডো কখনও এমন কথা বলেননি বা ইচ্ছাপ্রকাশ করেননি। জাতীয় দল ও দেশের সেবা করার জন্য রোনাল্ডো রোজই কোনও না কোনও কীর্তি স্থাপন করে চলেছেন। ওঁর দায়বদ্ধতা নিয়ে কোনও প্রশ্ন তোলা উচিত নয়। দলের প্রতিটি সদস্য এই বিশ্বকাপে পর্তুগালকে সেরা সাফল্য দিতে দায়বদ্ধ।’’
প্রসঙ্গত, ওই প্রতিবেদনে লেখা হয়েছিল, সুইজারল্যান্ড ম্যাচ শেষ হওয়ার পর ড্রেসিংরুমেই কোচের সঙ্গে উত্তপ্ত বাদানুবাদ হয় রোনাল্ডোর। সিআর সেভেন স্পষ্ট জানিয়ে দেন, পরের ম্যাচেও যদি তাঁকে বেঞ্চে বসিয়ে রাখা হয়, তাহলে ব্যাগ গুছিয়ে দেশে ফিরে যাবেন। পরিস্থিতি ক্রমশ জটিল হচ্ছে দেখে এগিয়ে আসেন সতীর্থরা। তাঁরাই শান্ত করেন রোনাল্ডোকে।
আরও পড়ুন-নতুন বছরের শুরুতেই ইডেনে ওয়ান ডে ম্যাচ, একসঙ্গে ছয় সিরিজের সূচি ঘোষণা বোর্ডের