সংবাদদাতা, হুগলি : জীবনের ধন কিছুই যাবে না ফেলা, বাঁধছি সুরের মেলা— খানিকটা এরকমই দর্শন শ্রীরামপুরের সোমনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের। বাতিল জিনিস থেকে অবন ঠাকুরের কুটুমকাটামের কথা সবার জানা। সোমনাথ মজে সুরে। বাদ্যযন্ত্র তৈরি করে তাক লাগিয়ে দিচ্ছেন। ফেলে-দেওয়া বোতল বা নারকেল মালা— সবকিছুই হয়ে উঠছে তাঁর উপকরণ। বাদ্য ও হস্তশিল্প দুয়েরই সম্মিলন ঘটাচ্ছেন সোমনাথ। শিল্পকর্মে সঙ্গী তাঁর ছেলেও।
আরও পড়ুন-২৪ মৎস্যজীবী কর্মহীন, ক্ষতির মুখে মালিকরাও, মরশুমের শুরুতেই বিপর্যয়, দিঘা মোহনায় ২ ট্রলারডুবি
১২ বছর বয়সেই বাবাকে হারানোর পর বাবার তৈরি বাঁশতরঙ্গ নিয়ে নানা জায়গায় অনুষ্ঠান করেছেন। বাবাকে দেখেই বাদ্যযন্ত্র তৈরিতে উৎসাহী হন। শ্রীরামপুরের জলতরঙ্গ শিল্পী হিসেবে যথেষ্টই পরিচিত ছিলেন আগেই। তবে কাঠ দিয়ে কাঠতরঙ্গ, ফ্লোর টাইলস দিয়ে সিরামিক টাইলস তরঙ্গ, কাচ দিয়ে কাচতরঙ্গ, সসের বোতল দিয়ে বোতলতরঙ্গ প্রভৃতি আরও বাদ্যযন্ত্র তৈরি করেছেন। এছাড়াও নারকেলমালা দিয়ে জলতরঙ্গ, ড্রামসেট, একতারা, ঢোল, তবলা, তানপুরা, সেতার ইত্যাদি যন্ত্রের মডেলও তৈরি করেছেন। দেশের নানা প্রান্তে এইসব যন্ত্র দিয়ে অনুষ্ঠান করে প্রচুর মানুষের প্রশংসাও কুড়িয়েছেন সোমনাথ। তাঁর এই অভিনব সৃষ্টি বাংলার মাটির সুরকে যেমন সমৃদ্ধ করছে, তেমনই দেশীয় সুরকে পৌঁছে দিতে চলেছে আন্তর্জাতিক স্তরেও।