দিনমজুর বাবা, ছেলের সোনা এলডোসের কীর্তি

দিদার কাছেই মানুষ তিনি। কমনওয়েলথ গেমসের ট্রিপল জাম্পে এলডোস পলের পদক জেতার খবর পেয়ে উচ্ছ্বসিত তাঁর কোচ টি পি অউসেফ।

Must read

নয়াদিল্লি, ৮ অগাস্ট : বাবা দিনমজুরের কাজ করেন। মা কম বয়সেই মারা গিয়েছেন। দিদার কাছেই মানুষ তিনি। কমনওয়েলথ গেমসের ট্রিপল জাম্পে এলডোস পলের পদক জেতার খবর পেয়ে উচ্ছ্বসিত তাঁর কোচ টি পি অউসেফ।
এরনাকুলাম শহর থেকে ২৬ কিমি দূরের কোলেনচেরি গ্রামের ছেলে এলডোস অ্যাথলেটিক্সকে বেছে নেন চাকরি পাওয়ার আশায়। আর সেখান থেকেই ট্রিপল জাম্পে প্রথম সোনা জিতে নজির গড়েন তিনি। হাতখরচের টাকা জোগাড় করতে কাঠ চেরাইের কাজ করা থেকে কমনওয়েলথ অবধি ২৫ বছর বয়সি এই তরুণের সবচেয়ে বড় সঙ্গী ছিলেন কোচ অউসেফ।

আরও পড়ুন-চা-বাগান শ্রমিক-সন্তানদের কম্পিউটার শেখাবে রাজ্য

তিনি বলেন, “গরিব ঘরের ছেলে এলডোস। আর্থিক অনটন সবসময়ই সঙ্গী ছিল ওর। তাই হাতখরচের টাকা জোগাড় করতে সপ্তাহে দুই থেকে তিনদিন কাঠ চেরাইয়ের কারখানায় কাজ করতে হত ওকে।”
অথচ এলডোসকে কম উচ্চতার জন্য মার অ্যাথানাসিয়াস কলেজের স্পোর্টস বিভাগ থেকে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন অউসেফ। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “তখন ওর উচ্চতা খুবই কম ছিল। এখনও মাত্র ৫ ফুট ৮ ইঞ্চি। আমার মনে হয়েছিল ট্রিপল জাম্পার হিসেবে ওর কোনও ভবিষ্যৎ নেই। কিন্তু পরে এলডোসের গতি, অদম্য ইচ্ছে দেখে ওকে একটা সুযোগ দিই।” ২০১৬ সালে ভারতীয় নৌবাহিনীতে সুযোগ পেলে কলেজ ছেড়ে দেন এলডোস।

Latest article