নবনীতা মণ্ডল, নয়াদিল্লি : রাজ্যকে বঞ্চনার অভিযোগ তুলে অতিরিক্ত বাজেট বরাদ্দ নিয়ে আলোচনায় কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সুর চড়ালেন লোকসভার তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ সৌগত রায়। তাঁর অভিযোগ, ১০০ দিনের কাজ-সহ বিভিন্ন গ্রামোন্নয়ন প্রকল্পে রাজ্যের বিপুল পরিমাণ বরাদ্দ বকেয়া রয়েছে। রাজ্যের উন্নয়ন ও অগ্রগতি অব্যাহত রাখতে তাই দ্রুত বকেয়া মেটানোর দাবি জানান তিনি। সৌগত বলেন, একাধিকবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের বিষয়টি জানানো হয়েছে। কিন্তু কোনও কাজ হয়নি। মোদি সরকারের ভূমিকায় স্পষ্টই বোঝা যাচ্ছে, তারা বাংলার তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের সঙ্গে রীতিমতো বঞ্চনা করে চলেছে।
আরও পড়ুন-লাভা উদগীরণ শুরু করেছে গুয়াতেমালার ফুয়েগো আগ্নেয়গিরি
রাজ্যের বকেয়া প্রসঙ্গে সৌগত রায় বলেন, কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীকে বাংলার প্রতি আরও ন্যায্য ও যথাযথ মনোভাব নিতে হবে। অর্থমন্ত্রীর নিজস্ব কোনও এলাকা নেই। তিনি তামিলনাড়ুর মানুষ। থাকেন দিল্লিতে। কর্নাটক থেকে রাজ্যসভায় এসেছেন। ফলে তাঁকে সবার প্রতি সমান মনযোগ দিতে হবে। অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনকে তিনি বলেন, কেন্দ্রের কাছে বিপুল পরিমাণ বকেয়া রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের। শুধুমাত্র ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পেই বকেয়া রয়েছে ৭৩০০ কোটি টাকা। সবার জন্য বাড়ি প্রকল্পেও বিপুল বকেয়া রয়েছে। তিনি আরও জানান, কলকাতা মেট্রোর কিছু অংশ-সহ আরামবাগ-বিষ্ণুপুর রেললাইন এবং রেলের বেশকিছু প্রকল্প বিভিন্ন জটিলতায় আটকে রয়েছে। সেগুলি দ্রুত-নিষ্পত্তি করা হোক।
ডলারের নিরিখে টাকার দাম পড়ে যাওয়ার প্রসঙ্গে সৌগত রায় বলেন, সকলেই বলছেন, বিভিন্ন দেশে টাকার দাম কমছে। ফলে এটা সাধারণ সমস্যা। কিন্ত আমাদের সরকার এ বিষয়ে নীরব। চেন্নাইয়ের বাজারে গিয়ে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর সবজি কেনার প্রসঙ্গ তুলে ধরে তিনি বলেন, অর্থমন্ত্রী নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন সাধারণ মানুষের পক্ষে সংসার চালানো কতটা কঠিন হয়েছে। মানুষকে স্বস্তি দিতে মুদ্রাস্ফীতি ঠেকাতে কেন্দ্র কী পদক্ষেপ করেছে তা জানতে চান তিনি।
আরও পড়ুন-টুকেই পাশ করেছিলাম, জানালেন বিজেপি মন্ত্রী
বেকারত্বের প্রসঙ্গ তুলে সৌগত অর্থমন্ত্রীর কাছে জানতে চান, দেশের যুবসমাজের কর্মসংস্থানের জন্য সরকার কী করছে? বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে বারবার গরুর সঙ্গে ধাক্কা ঠেকাতে রেলমন্ত্রককে আরও অর্থ বরাদ্দের কথা বলেন সাংসদ। সৌগত বলেন, লকডাউনের সময় পরিযায়ী শ্রমিকরা চরম দুর্দশায় পড়েছিলেন। নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সুপারিশমতো তিনি অর্থমন্ত্রীকে পরামর্শ দেন, পরিযায়ী শ্রমিকদের প্রতিমাসে ১০ হাজার টাকা করে দেওয়া হোক।