প্রতিবেদন : শ্মশান কেলেঙ্কারি মামলায় সৌমেন্দুর (Soumendu Adhikari) রক্ষাকবচ উঠে গেল। সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) স্পষ্ট জানিয়েছে, এই মামলায় কোনওরকম হস্তক্ষেপ করবে না তারা। অর্থাৎ পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পুলিশ তাদের মতো তদন্ত করতে পারবে। প্রয়োজনে সৌমেন্দুকে গ্রেফতার করতেও আর কোনও বাধা রইল না। এ-বিষয়ে পূর্ব মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার ট্যুইট করে লিখেছেন, যেহেতু সুপ্রিম কোর্ট কোনও হস্তক্ষেপ করল না। উল্টোদিকে নিম্ন আদালত চার্জশিট গ্রহণ করল। তাই কলকাতা হাইকোর্টের রক্ষাকবচ মূল্য হারিয়ে ফেলল। ইতিমধ্যেই তদন্ত শেষ করে নিম্ন আদালতে চার্জশিট দাখিল করেছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পুলিশ। আদালত যাকে মান্যতা দিয়েছে। এখানেই শেষ নয়, গত বছর কাঁথি পুরসভার নির্বাচনে অনিয়মের তদন্ত সংক্রান্ত সৌম্যেন্দুর মামলায় খুব একটা গুরুত্ব দিল না সুপ্রিম কোর্ট। যেহেতু নির্বাচন হয়ে গিয়েছে, তার উপর সৌম্যেন্দু সেই নির্বাচনের প্রার্থী বা ভোটার— কোনওটিই ছিলেন না। তাই মামলাটি নিয়ে তেমন তাড়াহুড়োর কিছু নেই বলেই আদালতের পর্যবেক্ষণ। অস্বস্তি এখানেও।
আরও পড়ুন- চেঙ্গিজ: এক নতুন ইতিহাস
কাঁথি পুরসভার চেয়ারম্যান থাকাকালীন রাঙামাটি শ্মশানের পরিকাঠামোগত উন্নয়নের সময় দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে সৌম্যেন্দুর (Soumendu Adhikari) বিরুদ্ধে। সেই মামলার পুলিশি তদন্তের মাঝেই গ্রেফতারির আশঙ্কা করে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল দলবদলু শুভেন্দুর ভাই। জানুয়ারির শেষে কলকাতা হাইকোর্ট তাঁকে শর্তসাপেক্ষে রক্ষাকবচ দেয়। এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করেই সুপ্রিম কোর্টে আসে রাজ্য সরকার। সেই মামলায় প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, যেহেতু পুলিশি তদন্ত শেষ, তাই তাতে হস্তক্ষেপ করবে না আদালত। কারণ সুপ্রিম কোর্ট হস্তক্ষেপ না-করার মানে, কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে তাঁর রক্ষাকবচ বহাল থাকল। কিন্তু এর মধ্যেই তদন্ত শেষ করে ২১ ফেব্রুয়ারি নিম্ন আদালতে চার্জশিট জমা করেছে পুলিশ। ২২ মার্চ যাকে মান্যতা দিয়েছে আদালত। এই ঘটনার উল্লেখ করেই পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পুলিশের এসপি-র ওই ট্যুইট। জেলা পুলিশ সুপারের এই ট্যুইটের পর হইচই পড়ে গিয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলায়।