প্রতিবেদন : ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডে রাজনীতি ছিল। কিন্তু এতটা রাজনীতির রং আগে বোধহয় ছিল না। যা এখন দেখা যাচ্ছে। ওয়াকিবহাল মহল সেটাই বলছে। সেই রাজনীতির বলি হলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় (Sourav Ganguly)। পিছনে রাজনৈতিক সমর্থন না থাকলে অথবা কেন্দ্রের শাসক দলের আদর্শে অনুপ্রাণিত না হলে যে অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখা যায় না, তার প্রমাণ বোর্ডের মসনদ থেকে বাংলার মহারাজের অপসারণ।
শুধু বোর্ড নয়, রাজনীতির মারপ্যাঁচে ক্রিকেট প্রশাসন থেকেই অস্তাচলে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে সৌরভের (Sourav Ganguly)। কাগজে-কলমে নভেম্বরে আইসিসি চেয়ারম্যান হওয়ার রাস্তা খোলা থাকলেও আদৌ সেই নির্বাচনে ভারত (পড়ুন বিসিসিআই) অংশ নেবে কি না, তা নিয়েই রয়েছে সংশয়। ১৮ অক্টোবর বোর্ডের বার্ষিক সাধারণ সভা। সেখানেই এ নিয়ে সিদ্ধান্ত হওয়ার কথা। কিন্তু জানা যাচ্ছে, নভেম্বরে আইসিসি-র বর্তমান চেয়ারম্যান পদে নিউজিল্যান্ডের গ্রেগ বার্কলের দু’বছরের মেয়াদ শেষ হলেও সংবিধান মেনে তিনি আরও দু’টি মেয়াদ (সর্বোচ্চ ছ’বছর) থাকতে পারেন। আর নির্বাচন হলেও সৌরভের সম্ভাবনা কম। কারণ, কেন্দ্রের বিজেপি হাইকম্যান্ড সমর্থিত প্রার্থীই সেখানে অগ্রাধিকার পাবেন। আইসিসি-তে বোর্ডের প্রতিনিধি হওয়ারও সম্ভাবনা নেই। যা খবর, বিসিসিআই সচিব জয় শাহই ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থায় প্রতিনিধিত্ব করবেন।
তাহলে সৌরভের উপায়? আরও তিনটি বিকল্প রয়েছে তাঁর কাছে। আবারও কমেন্ট্রি বক্সে ফিরতে পারেন। ক্রিকেট ছাড়ার পর সৌরভকে ধারাভাষ্যকারের ভূমিকায় দেখা গিয়েছে। মাইক হাতেও তিনি তুমুল জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন। চাইলে তিনি আবারও ফিরতে পারেন কমেন্ট্রি বক্সে। ক্রিকেট প্রশাসক হিসেবে এখনও সাড়ে তিন বছর সময় রয়েছে সৌরভের হাতে। সিএবি প্রেসিডেন্ট হিসেবে আবার তাঁর ফিরে আসার রাস্তাও খোলা থাকছে। আরও একটি বিকল্প রয়েছে সৌরভের কাছে। সৌরভ ফিরতে পারেন আইপিএল দুনিয়াতেও। বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট হওয়ার আগে আইপিএলে দিল্লি ক্যাপিটালসের মেন্টরের দায়িত্ব নিয়েছিলেন সৌরভ। আবার তাঁর এই দায়িত্ব নেওয়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। কারণ, দিল্লি ফ্র্যাঞ্চাইজির কর্ণধার পার্থ জিন্দালের সঙ্গে খুব ভাল সম্পর্ক সৌরভের।