সংবাদদাতা, ভাঙড় : পঞ্চায়েত ভোট মিটে গিয়েছে, তবুও বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো লাগাতার অশান্তির চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। বিরোধীদের হাতে আক্রান্ত হচ্ছেন তৃণমূল কর্মী-সমর্থকেরা। ভাঙড়ে বোমা বাঁধতে গিয়ে ফেটে আহত হয়েছে আইএসএফ সমর্থকেরা। তা সত্ত্বেও ভাঙড় এবং কোচবিহারের পরিস্থিতি ক্রমশ স্বাভাবিক হয়ে আসছে। স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় ফিরছেন মানুষ।
আরও পড়ুন-প্যারোলে বেরিয়ে বিয়ের পিঁড়িতে
দোকানপাট, স্কুল-কলেজ খুলছে। সকাল থেকে ভাঙড় বাজার, কাঁঠালিয়া, কাশীপুরে রুটমার্চ করেছে আধাসামরিক বাহিনী। স্থানীয় বাসিন্দাদের আস্থা ফেরানোর চেষ্টা করছে প্রশাসন। এছাড়া ভাঙড়, কাশীপুরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ইতিমধ্যে ভাঙড়ের হিংসার তদন্তভার নিয়েছে সিআইডি। প্রশাসন দোকানবাজার খোলার আবেদন করেছে। ভাঙড় কলেজ কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন। বিশ্ববিদ্যালয়ের রুটিন মেনেই সেখানে পরীক্ষা হবে বলে কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে। ভাঙড়-১ ও ২ ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকায় এখনও হিংসার চিহ্ন ছড়িয়ে-ছিটিয়ে। রাস্তায় পড়ে রয়েছে পোড়া গাড়ি।
আরও পড়ুন-এশিয়াডে চানুদের সঙ্গী বাংলার অচিন্ত্য
এর মধ্যেও আইএসএফের কর্মী-সমর্থকেরা লাগাতার অশান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করছে। তার জেরে গতরাতে চালতাবেড়িয়ায় বোমা বাঁধতে গিয়ে ফেটে গিয়ে আগুনে ঝলসে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে বলে খবর। আহতরা সকলেই আইএসএফ কর্মী বলে দাবি স্থানীয় সূত্রের। অ্যাম্বুল্যান্সে চেপে কয়েকজন পালানোর চেষ্টা করে। কলকাতায় আনার পথে বাসন্তী হাইওয়ের কাঁটাতলায় আহতদের আটকায় পুলিশ। পাশাপাশি বোমার সন্ধানে পাটখেতে তল্লাশি চালায় পুলিশ।
আরও পড়ুন-বন্যা-পরিস্থিতি বানারহাট
কোচবিহারও ক্রমশ স্বাভাবিক হয়ে আসছে। তার মধ্যেই ভোটের দিন বিজেপি দুষ্কৃতীদের বোমায় আহত তৃণমূল কর্মীর শেষমেশ মৃত্যু হল। নাম লুতফর মিয়া। শীতলকুচির বাসিন্দা। মধ্য শীতলকুচির বুথে রাজনৈতিক অশান্তি হয়েছিল ভোটের দিন। সেই অশান্তির মধ্যে ওই এলাকা দিয়ে যাওয়ার সময় বোমাবাজিতে আহত হন। তাঁকে উদ্ধার করে শীতলকুচি হাসপাতাল ও পরে কোচবিহার এমজেএন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। বৃহস্পতিবার তিনি মারা গেলেন। মৃতের পরিবার জানিয়েছে, বিজেপির কিছু দুষ্কৃতী সেদিন মধ্য শীতলকুচিতে বিভিন্ন বুথে তাণ্ডব চালাচ্ছিল। সেই সময় এলাকা দিয়ে যাওয়ার সময় আক্রান্ত হন।