ব্যুরো রিপোর্ট : কেন্দ্রের জনবিরোধী নীতি এবং পেট্রোপণ্য, ওষুধ ও অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে জেলায় জেলায় প্রতিবাদ মিছিল ও বিক্ষোভসভা করল তৃণমূল কংগ্রেস। বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর ব্লকের অবন্তিকায় বিশাল প্রতিবাদ মিছিল বেরোয়।
বীরভূম, বর্ধমান, ২৪ পরগনাও উত্তাল হয় প্রতিবাদে। কাঁথি শহরে কাঁথি সাংগঠনিক জেলা যুব তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্যোগে কেনেলপাড়ের ভবতারিণী মন্দির থেকে বিক্ষোভ মিছিল হয় পোস্ট অফিস মোড় পর্যন্ত।
আরও পড়ুন-অস্ত্র-সহ ধৃত বিজেপি নেতা
বিক্ষোভসভায় মন্ত্রী অখিল গিরি বলেন, ‘‘বিজেপি আগে স্লোগান দিত, সব কা সাথ, সব কা বিকাশ। রান্নার গ্যাস পেট্রোল-ডিজেলের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির ফলে এখন মানুষ সেই স্লোগান পাল্টে দিয়েছেন। বলছেন, ‘ সব কা সাথ, সব কা সর্বনাশ।’ প্রাক্তন মন্ত্রী ও হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদের মন্ত্রী জ্যোতির্ময় কর এবং জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক তরুণ জানা তোপ দাগেন বিরোধী দলনেতার উদ্দেশে। বলেন, ‘‘বিরোধী দলনেতা উন্নয়নের বদলে সবসময় ৩৫৫ ও ৩৫৬ চাইছেন। রাজ্যের বহু টাকা কেন্দ্র সরকার আটকে রেখেছে। সেসব তিনি চান না। কাঁথির ছেলের এমন কাণ্ড দেখে কাঁথির মানুষ হিসাবে খুব লজ্জা লাগে। বিধানসভায় মারপিটের পর তাঁকে লোডশেডিং বিধায়ক থেকে এখন গুন্ডা বিধায়ক বলে অনেকে ডাকছেন।’’
আরও পড়ুন-মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে উত্তাল উত্তরবঙ্গ
সভার অন্যতম আহ্বায়ক তথা জেলা যুব তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি সুপ্রকাশ গিরি বলেন, ‘‘কাঁথি পুরসভা হাতছাড়া হওয়ার পর, বিরোধী দলনেতার মাথা খারাপ হয়ে গিয়েছে। নিজের ওয়ার্ডে জিততে না পেরে বিধানসভায় এখন বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে বিরোধী দলনেতা বেশি ব্যস্ত। তাই পেট্রোল-ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে তাঁর ভাবার সময় নেই।’’ এদিন বিক্ষোভ সভায় ছিলেন অভিজিৎ দাস, হরিসাধন দাস অধিকারী, কমলেন্দু পাহাড়ি, রীনা দাস প্রমুখ।