প্রতিবেদন : ঐতিহাসিক পদক্ষেপ। রাজ্য সরকারের। ভূমি ও ভূমি সংস্কার এবং ত্রাণ উদ্বাস্তু ও পুনর্বাসন দফতর যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করল। খাজনা দেওয়ার ক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনল এই দুই দফতর। চালু করল ভূমি নামে ওয়েবসাইট। এই ওয়েবসাইটে অনলাইনেই বাড়ি থেকে জমির খাজনা দিতে পারবেন মালিক। সঙ্গে সঙ্গে পেয়েও যাবেন রসিদও। এর পাশাপাশি ই-সলিউশন নামে একটি পৃথক অ্যাপ তৈরি করেছে রাজ্য সরকার। এই অ্যাপে ছাত্রছাত্রীরা তিন থেকে সাতদিনের মধ্যেই যাবতীয় সমস্যার সমাধান পেয়ে যাবেন। সোমবার বিশ্ববাংলা মেলা প্রাঙ্গণে এই ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন-খুলছে মধু চা-বাগান
তিনি বলেন, বিদেশে এবং রাজ্যে লেখাপড়ার ক্ষেত্রে ছাত্রছাত্রীরা সমস্যর মধ্যে পড়েন। এই অ্যাপের মাধ্যমে ছাত্রছাত্রীদের উদ্ভূত সমস্যার সমাধান হবে। বাস্তবে এই অ্যাপ নিঃসন্দেহে এক ঐতিহাসিক পদক্ষেপ বলাবাহুল্য। এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, দক্ষিণ কলকাতায় দু’মাসের মধ্যে নবনির্মিত ‘ধনধান্য’ স্টেডিয়ামের উদ্বোধন হবে। এই স্টেডিয়ামটি একটি শঙ্খের আদলে তৈরি করা হয়েছে। শুধু দৃষ্টিনন্দন নয়, এই স্টেডিয়াম হবে আন্তর্জাতিক মানেরও।
আরও পড়ুন-শিলাবৃষ্টিতে ক্ষতি ত্রাণ নিয়ে প্রশাসন
নতুন ব্যবস্থাপনায় খাজনা যেভাবে দেওয়া যাবে তা হল (১) ‘বাংলার ভূমি’ (https://banglarbhumi.gov.in) পোর্টালে সিটিজেন ইউজার হিসেবে সাইনআপ করতে হবে। (২) এরপর লগইন করে অনলাইন অ্যাপ্লিকেশন মেনুতে যেতে হবে। এরপর ল্যান্ড রেভেনিউতে গিয়ে অ্যাপ্লিকেশনে ক্লিক করতে হবে। সেখানে দিতে হবে নাম, ঠিকানা, মোবাইল নম্বর ও ই-মেল। (৩) এরপর জেলা, ব্লক, মৌজা ও খতিয়ান নম্বর দিলে আপনার দাগ নম্বর দেখিয়ে দেবে। (৪) আপনি যদি খাজনা দিয়ে থাকেন তাও জানানোর সুযোগ আছে। (৫) স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থাপনায় কত খাজনা বাকি তা দেখা যাবে। এই ব্যবস্থায় বাড়ি বসে সহজে নেট ব্যাঙ্কিং অথবা ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ডে দেওয়া যাবে। রেজিস্টার্ড মোবাইল নম্বরে সিস্টেম জেনারেটেড কনর্ফামেশন মেসেজ আসবে। ই-মেলে ভূমি রাজস্ব দফতরে রসিদও পাওয়া যাবে। (৬) কেউ যদি ডিজিটাল পেমেন্ট করতে না চান, সেক্ষেত্রে তাঁরা নগদে খাজনা দিতে পারবেন। এজন্য আবেদনটি ডাউনলোড করে বিএলআরও অথবা আরআরআই অফিসে যেতে হবে। ওই আবেদনের ভিত্তিতেই নেওয়া হবে নগদে খাজনা।