প্রতিবেদন : রাজ্য সরকারের হয়ে মামলা লড়তে এবং আইনি পরামর্শ দিতে বিভিন্ন দফতরে ২৩ জন নতুন ল-অফিসার নিয়োগ করা হচ্ছে। কৃষি বিপণন, ভুমি ও ভূমি রাজস্ব, কারিগরি শিক্ষা, পাবলিক সার্ভিস কমিশন, পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের অধীনস্থ ডাইরেক্টরেট, বিভিন্ন জেলাশাসক, পুলিশ সুপার ও কমিশনারেটে এই আধিকারিকদের নিয়োগ করা হবে। নবান্ন সূত্রের খবর, গত সপ্তাহে রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকেই ওই ২৩ জন ল-অফিসারের পদ সৃষ্টির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন-হৃদরোগের চিকিৎসায় আসছে বিপ্লব রাজ্যজুড়ে পিজি’র টেলিমেডিসিন
নবান্ন সূত্রের খবর, এই ২৩ জনকে নিয়োগ করা হচ্ছে কৃষি বিপণন, ভুমি ও ভূমি রাজস্ব, কারিগরি শিক্ষা, পাবলিক সার্ভিস কমিশন, পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের অধীনস্থ ডাইরেক্টরেট, জলপাইগুড়ি, বর্ধমান, মেদিনীপুর ডিভিশনাল কমিশনারের কার্যালয়, রাজ্য পুলিশের ডিজি, কলকাতা পুলিশ কমিশনার, আসানসোল দুর্গাপুর-হাওড়া-বিধাননগর-শিলিগুড়ি-চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেট এবং আলিপুরদুয়ার, ঝাড়গ্রাম, হুগলি, নদিয়া, পশ্চিম বর্ধমান ও পুরুলিয়া জেলাশাসকের কার্যালয়ে।
আরও পড়ুন-সুপ্রিম কোর্টের রায় উড়িয়ে বিজেপির বকলমে প্রস্তাব পেশ
অভিজ্ঞ আধিকারিকদের একাংশের বক্তব্য, নজর রাখা হয়েছে ফৌজদারি আইনে পারদর্শী আইনি পরামর্শদাতা নিয়োগে। কারণ, পুলিশের যে মামলাগুলিতে রাজ্য ধাক্কা খাচ্ছে, সেগুলি প্রধানত ফৌজদারি। আবার বিভিন্ন দফতরের যে প্রয়োজন, তাতেও ফৌজদারি আইন জানা পরামর্শদাতাদের চাহিদা বাড়ছে। তাছাড়া জমি আইন, পুর আইনে পারদর্শী আইনি পরামর্শদাতাদের নিয়োগেও নজর রাখা হচ্ছে। আপাতত সরকারের অন্য দফতরে থাকা আইন-আধিকারিকদের মধ্যে থেকে বদলি এবং ডেপুটেশনের ভিত্তিতে ওই ২৩ জনকে নিয়োগ করা হবে।