প্রতিবেদন : আগামী বছরের গঙ্গাসাগর মেলার সার্বিক পরিছন্নতা বাড়াতে রাজ্য সরকার উদ্যোগী হয়েছে। কলকাতা থেকে গঙ্গাসাগর যাওয়ার পথে পুণ্যার্থীদের সাময়িক বিশ্রামস্থলগুলি চিহ্নিত করে সেগুলো দূষণ নিয়ন্ত্রণে বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। এই রাস্তায় এমন কতগুলো বাফার জোন আছে তা চিহ্নিত করতে পুর্তমন্ত্রী পুলক রায় নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি জানান, পুণ্যার্থীদের বিশ্রামস্থল বা বাফার জোনগুলোতে নির্মল পরিবেশ করার লক্ষ্যেই এবার বায়ো টয়লেট, গাড়ি ও বাস পার্কিংয়ের সুব্যবস্থা এবং পরিস্রুত পানীয় জলের জায়গা করা হবে। গঙ্গাসাগর মেলাকে কেন্দ্র করে কোথাও যাতে বিন্দুমাত্র পরিবেশ দূষণ না ঘটে, সেদিকে কড়া নজর রাখা হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন-শীত পড়লেই ডেঙ্গি বিদায়
পূর্তমন্ত্রী বলেন, দু-বছরের অতিমারি আতঙ্ক কেটে যাওয়ায় এবার গঙ্গাসাগর মেলায় বিপুল সংখ্যক পুণ্যার্থী সমাগমের আশা করা হচ্ছে। তাঁদের যাতে বিন্দুমাত্র অসুবিধা না হয় রাজ্য সরকার তা নিশ্চিত করবে। আগামী ২৫ ডিসেম্বরের মধ্যে মেলার যাবতীয় পরিকাঠামো তৈরির কাজ শেষ করতে তিনি দফতরের আধিকারিক ও কর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন। গত ২ বছর অতিমারির প্রভাবে পুজো-পার্বণ, উৎসবে পড়েছিল বিধি-নিষেধের খাঁড়া। এই বছর সেসবের বালাই নেই। তাই দুর্গাপুজো হোক বা কালীপুজো কিংবা মেলা চলতি বছরে মানুষের উচ্ছ্বাসের আবেগে এসেছে জোয়ার। গত ২ বছরের তুলনায় গঙ্গাসাগর মেলায় ভিড় কয়েকগুণ বাড়তে পারে বলে প্রশাসনের কর্তারা মনে করছেন। কয়েকমাস আগে থেকেই মুড়িগঙ্গা নদীতে ড্রেজিংয়ের কাজ শুরু করা হয়েছে। ২০১৮ সাল থেকে পাঁচ বছরের চুক্তিতে কয়েক কোটি টাকা ব্যয়ে ড্রেজিংয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল।
আরও পড়ুন-কেন্দ্রের শিক্ষা ব্যবস্থায় হতাশ বিজ্ঞানী বিকাশ
সেচ দফতর সূত্রে খবর, এ বছর ড্রেজিংয়ে কিছু নিয়ম পরিবর্তন করা হয়েছে তাই আগের যে চুক্তি ছিল তা বাদ দিয়ে নতুন একটি সংস্থাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আগে গঙ্গাসাগর মেলা মিটে গেলে সারা বছর ড্রেজিং আর করা হত না। পাশাপাশি রাজ্যের সেচ দফতরের তরফ থেকে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় আধুনিক পদ্ধতিতে নদীভাঙন রোধ করার জন্য নদীবাঁধ তৈরির কাজ শুরু করা হয়েছে। গঙ্গাসাগর মেলাকে বিশ্বের দরবারে পৌঁছে দিতে ইতিমধ্যেই নানান পদক্ষেপ নিয়েছেন রাজ্যের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের পাশাপাশি ভিন রাজ্য থেকে আসা পুণ্যার্থীদের সুবিধার ক্ষেত্রে বদ্ধপরিকর রাজ্য সরকার।