সংবাদদাতা, শিলিগুড়ি : ধৃত পাকচর গুড্ডু কুমারের (Guddu Kumar) তদন্ত নতুন মোড় নিল। শিলিগুড়িতে নাম ভাঁড়িয়ে ঘাঁটি গাড়ে আইএসআই চর গুড্ডু কুমার। তাকে জেরা করে এসটিএফের বিশেষ তদন্তকারী দলের গোয়েন্দারা জেনেছেন, বাড়ি ভাড়া নিতে সে ভুয়ো নথিও জমা দেয়। এসটিএফ ও সেনাবাহিনীর গোয়েন্দা সূত্রে জানা গিয়েছে, গুড্ডু তার আসল নাম নয়। যদিও জেরায় তা স্বীকার করেনি সে। তাই এবার পরিচয় যাচাই করতে শনিবার বিহারের চম্পারণে তার বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেয় স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্সের তিন সদস্যের তদন্তকারী দল। নাম ভাঁড়িয়ে এলাকায় টোটো চালাত সে। ভাড়াবাড়ির মালিকের বাচ্চাদের সন্ধ্যায় পড়াত বলেও জানা গিয়েছে। এলাকায় শিক্ষিত, ভদ্র ছেলে হিসাবেই নামডাক হয় গুড্ডুর। এসটিএফের এক কর্তা জানান, বিহারের সাধারণ ঘরের ছেলে গুড্ডু কুমারের (Guddu Kumar) পাকচর হয়ে ওঠার পিছনে জাল কতদূর বিস্তৃত তদন্ত করতে রাজ্য এসটিএফের নির্দেশে শনিবার ভোরে বিহার পাড়ি দিয়েছে উত্তরবঙ্গ এসটিএফ-এর একটি দল। পাশাপাশি অন্য একটি দল শিলিগুড়ির সেবক ক্যান্টনমেন্ট, শুকনা সেনা ছাউনি, বাগডোগরা বায়ুসেনার বেস ক্যাম্পে গুড্ডুর গতিবিধি পুনর্গঠনের কায়দায় রেইকি চালায়। এসটিএফ-এর এই দুটি দলই আলাদাভাবে আইএসআই এজেন্ট মামলার তদন্ত চালাচ্ছে। পাকচর গুড্ডুকে সঙ্গে নিয়ে শিলিগুড়ির ভারতনগরে তার ভাড়াবাড়িতে সকালে পৌঁছয় এসটিএফের দলটি। সেখানে ফের তল্লাশির পাশাপাশি ওই বাড়ির অন্য ভাড়াটিয়াদের জিজ্ঞাসাবাদ করে। বাড়ির মালিক সঞ্জয় সুশীলকেও কিছুক্ষণ জেরা করা হয়। এরপরই পাকচরের দু’বছরের নিয়মিত গতিবিধি অনুযায়ী সেনাছাউনি এবং সেনা বেস ক্যাম্প এলাকাগুলিতে ধৃতকে সঙ্গে নিয়ে পৌঁছায় তদন্তকারী দলটি। ছবি, ভিডিওর পুঙ্খানুপুঙ্খ তথ্য কীভাবে সে পৌঁছে ছিত সে সবই পুনর্গঠন করেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। এই পুনর্গঠনের মাধ্যমেই সেনাবাহিনীর ঠিক কী কী তথ্য পাক ডেরায় আইএসআইয়ের হাতে পৌঁছেছে তা রেকর্ডবন্দি করেন আধিকারিকেরা বলে এসটিএফ সূত্রের খবর।