ব্যুরো রিপোর্ট : আতঙ্ক-উদ্বেগ কাটিয়ে ইউক্রেন (Ukraine) থেকে দু-চারজন করে বাড়ি ফিরছেন ডাক্তারি পড়ুয়ারা। মুর্শিদাবাদের বেলডাঙার বেগুনবাড়ি এলাকার আবুল কালাম ও মহম্মদ তৌহিদ শেখ এবং ফরাক্কার সুমন ঘোষ শনিবার সকালে বাড়ি ফিরেছেন। আবুল জানাচ্ছেন, যুদ্ধচলাকালীন তাঁরা সাতদিন ধরে একটি বেসমেন্টে ছিলেন। খাবার ছিল না। বাদাম, বিস্কুট খেয়ে দিন কাটাতে হয়েছে। পানীয় জলও পর্যাপ্ত ছিল না।
আরও পড়ুন – নৃত্য বিভাগের অধ্যাপককে আদালতে তলব, পুড়ল উপাচার্যের কুশপুতুল
অবিরাম বোমাবর্ষণ হতে থাকায় হাঙ্গেরি পৌঁছতে হাতে ভারতের পতাকা নিয়ে ৮-৯ কিলোমিটার হেঁটে ট্রেন ধরেছেন। অবিরাম বোমাবর্ষণে রাতের ঘুম চলে গিয়েছিল একই বেসমেন্টে থাকা প্রায় সাড়ে চারশো ছেলেমেয়ের। এখন নিজেদের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তায়। চিন্তায় অভিভাবকরাও। আবুলের মা ফিরোজা বেগম ছাত্রছাত্রীরা যাতে এই দেশেই ডাক্তারি পড়তে পারে, তার ব্যবস্থার জন্য কেন্দ্রের কাছে আবেদন জানিয়েছেন। আবুল বলেন, দিল্লিতে রাজ্য সরকার থাকার এবং বাড়ি ফেরার ব্যবস্থা করে দিয়েছে।
মহম্মদ এনায়েতুল্লা শুক্রবারই মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘিতে বাড়িতে ফিরেছেন। ২০১৭-য় ডাক্তারি পড়তে গিয়েছিলেন। ‘পরিবারকে দেখতে পাব, সেই আশাটাও ছেড়ে দিয়েছিলাম। মৃত্যু সবসময় হাতছানি দিচ্ছিল’— জানালেন এনায়েতুল্লা।
ইউক্রেন (Ukraine) থেকে ফিরে চোখেমুখে আতঙ্কের ছাপ নিয়ে বললেন, নদীয়ার শান্তিপুর থানার কাশ্যপপাড়ার সুমন অধিকারী। জনমজুরের কাজ ছেড়ে আর্থিক স্বাচ্ছন্দ্য ফেরাতে ধার করে ইউক্রেনে গিয়েছিলেন কুরিয়ার সার্ভিসের কাজ করতে। তার মধ্যেই ছন্দপতন। যুদ্ধ কেড়ে নিল সব স্বপ্ন। বাড়তি উপার্জন তো দূরের কথা প্রাণ হাতে নিয়ে বাড়ি ফিরতে পারব কিনা শুরু হয়েছিল সেই দুশ্চিন্তাও।