নৃত্য বিভাগের অধ্যাপককে আদালতে তলব, পুড়ল উপাচার্যের কুশপুতুল

Must read

দেবর্ষি মজুমদার, বোলপুর: হস্টেল খোলা হচ্ছে না। পড়ুয়ারা চরম সঙ্কটে। পরীক্ষা নিয়েও রয়েছে জটিলতা। পড়ুয়ারা কথা বলতে চান উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর সঙ্গে। একের পর এক স্বৈরাচারী সিদ্ধান্ত নেওয়া উপাচার্য কথা বলা বা সমস্যার সমাধান তো দূরস্থান, পালিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। উপাচার্যের এ হেন দায়িত্বজ্ঞানহীন কাজেকর্মে পড়ুয়ারা যেমন প্রবল ক্ষুব্ধ, রীতিমতো বিরক্ত বীরভূমের তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলও। বিশ্বভারতীতে (Visva Bharati) ছাত্র আন্দোলনকে সমর্থন করে উপাচার্য সম্পর্কে অনুব্রত বললেন, ‘একটা পাগল, পায়ে বেড়ি পরানো আছে কিনা দেখা দরকার।’

আরও পড়ুন – অনেক বলেছি, ওরা শোনেনি, আগামীতে বিজেপি মুছে যাবে দেশ থেকে

শুক্রবার আধিকারিক-সহ কর্মসচিবকে পুলিশ আগলে নিয়ে যাওয়ার পর পড়ুয়ারা মিছিল করে উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর কুশপুত্তলিকা দাহ করেন। তারপর বৃহস্পতিবার রাতে অনুব্রত বলেন, ‘উপাচার্যের মাথায় বুদ্ধি নাই। একটা পাগল। ওঁর বাড়ির লোকজনদের বলব, ওঁকে ট্যাবলেট খাইয়ে ফেলে রাখুন। শুনেছি ওঁর পায়ে বেড়ি পরানো আছে। আমার প্রশ্ন, ছাত্রছাত্রীদের জন্য হস্টেলগুলো খুলে দিক। ক্লাস হবে— পড়ুয়ারা থাকবে কোথায়? গাছতলায়? ছেলেরা বাইরে বাথরুম করতে পারবে। মেয়েরা কোথায় বাথরুম করবে? ভিসির বুদ্ধি নাই। ছেলেরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করছিল, হস্টেল খোলা-সহ কিছু ন্যায্য দাবি নিয়ে। সেটা পূরণ করলেই হত।’ বিশ্বভারতীর (Visva Bharati) আরেক ঘটনায় সংগীত ভবনের মণিপুরী নৃত্য বিভাগের অধ্যাপক সুমিত বসুকে সিউড়ি বিশেষ আদালতে ১৬ মার্চ হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তফসিলি জাতি ও উপজাতি সম্প্রদায় আইনে। সুমিত আদালতের নির্দেশ হাতে পেয়েছেন বলে জানালেও এ ব্যাপারে মুখ খুলতে চাননি। অভিযোগকারী সোমনাথ সৌও কিছু বলতে চাননি। ই-মেলে সুমিত বসুর বিরুদ্ধে শান্তিনিকেতন থানায় জাতিগত বিদ্বেষ, হেনস্থা ও প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ দায়ের করেন অর্থনীতি বিভাগের ছাত্র সোমনাথ সৌ। গত বছর ১৭ সেপ্টেম্বর সাড়ে বারোটা নাগাদ সোমনাথ বন্ধুদের সঙ্গে যখন চা খাচ্ছিলেন, সেই সময় অধ্যাপক সুমিত বসু নাকি সাইকেলে করে ওই রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় তাঁকে দেখে রাস্তায় থুথু ফেলে অবমাননাকর মন্তব্য করেছিলেন।

Latest article