প্রতিবেদন : বান্ধবীকে ৩৫ টুকরো করে দিল্লির জঙ্গলে ছড়িয়ে দেওয়া আফতাব পুনওয়ালার আরও নানা কীর্তি সামনে আসছে৷ পুলিশি তদন্তে উঠে এসেছে, লিভ–ইন পার্টনার শ্রদ্ধা ওয়াকারকে ২০২০ সালে মুম্বইয়ে থাকাকালীন এমন মারধর করেছিল যে তাঁকে ভাসাই এলাকার মাল্টিস্পেশ্যালিটি হাসপাতালে ভর্তি থাকতে হয়৷ নিহত তরুণীর এক বন্ধু সেই সময়কার একটি ছবি পোস্ট করেছেন৷ তাতে দেখা যাচ্ছে শ্রদ্ধার নাক, গলা ও মুখে আফতাবের মারের চিহ্ন স্পষ্ট৷
আরও পড়ুন-মানহানির মামলায় কোর্টের সমন বিরোধী দলনেতাকে
রাহুল রাই নামে ওই বন্ধুর দাবি, শ্রদ্ধাকে এর আগেও গলা টিপে খুনের চেষ্টা করেছিল আফতাব৷ দু’বছর আগেই শ্রদ্ধা আফতাবের বিরুদ্ধে গার্হস্থ্য হিংসার অভিযোগ জানিয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বলে তথ্য উঠে আসছে৷ পুলিশের অনুমান, আফতাবের সঙ্গে লিভ–ইন সম্পর্কে থাকলেও দু’জনের সম্পর্ক আদৌ মসৃণ ছিল না৷ শ্রদ্ধার দেহের কিছু অংশ উদ্ধার করা গেলেও এখনও তাঁর কাটা মাথার খোঁজ মেলেনি৷ পুলিশের বক্তব্য, আফতাবকে দোষী সাব্যস্ত করতে গেলে মৃতের কাটা মাথা এবং খুনের অস্ত্র মেলা অত্যন্ত জরুরি৷ এই কারণে দিল্লি ও সংলগ্ন ১৫টি জেলার ১৭৮টি থানায় দিল্লি পুলিশের সদর দফতর থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, জুন মাস থেকে শহরের কোনও এলাকায় কোনও দেহাংশ মিলেছে কি না খতিয়ে দেখতে হবে৷