হায়দরাবাদ ৮ মে : সুপার ফোরে ভেসে থাকতে জয় দরকার ছিল সানরাইজার্স হায়দরাবাদের (SRH-LSG)। সেটা হল। ৬২ বল বাকি রেখে তারা জিতল ১০ উইকেটে। কিন্তু দুই ওপেনার এমন ঝড় তুলে দিলেন, নেট রান রেটের প্রশ্নেও আশপাশে থাকা বাকিরা বহুদূর পিছিয়ে পড়ল। রাহুল ম্যাচের পর বললেন, ওদের এই ব্যাটিং টিভিতে দেখেছি। আজ সামনে দেখলাম। আমি কথা হারিয়ে ফেলেছি।
আইপিএলে চারবার পাওয়ার প্লে-তে একশোর উপর রান উঠেছে। তার মধ্যে দু’বার সানরাইজার্স। যার একটা বুধবার উপলের স্টেডিয়ামে। ৬ ওভারে ১০৭/০ তুলেছে হায়দরাবাদ। অভিষেক শর্মা (৭৫ নট আউট) ও ট্রাভিস হেডকে (৮৯ নট আউট) কেউ থামাতে পারেননি। অভিষেক ১৯ বলে হাফ সেঞ্চুরি করেন। হেড আগেই পঞ্চাশ করে ফেলেছিলেন। ১৬৫ রান পুঁজি নিয়ে লখনউ ততক্ষণে ম্যাচ থেকে হারিয়ে গিয়েছে! তাদের এই রান ৯.৪ ওভারে তুলে নিল হায়দরাবাদ। ১০ ওভারে এটাই সবথেকে বেশি রান তুলে জয় আইপিএলে।
১১ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে খেলতে নেমেছিল দুটো দল। তবে সানরাইজার্স রানরেটে এগিয়ে থাকায় সুবিধাজনক জায়গায় ছিল। এই ম্যাচের আগে হায়দরাবাদের (SRH-LSG) রান রেট ছিল -০.০৬৫। লখনউ সুপার জায়ান্টসের রান রেট -০.৩৭১। এদিন ঝড় তুলে জিতে ১২ ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট হল সানরাইজার্সের। তারা এখন তিনে। লখনউ ছয়ে।
কামিন্স ৩১তম জন্মদিনে খেলতে নেমেছিলেন। তিনি টসে হেরে বললেন, জিতলে লখনউয়ের মতো আগে ব্যাট করে নিতেন। আগের দিন হায়দরাবাদে প্রবল বৃষ্টি হয়েছে। এদিন খেলা ঠিক সময়ে শুরু হবে কিনা সেটা নিয়ে আশঙ্কা ছিল। কিন্তু রাহুল আগে ব্যাট করে ভুল করলেন কিনা সেই প্রশ্ন থাকছে। তিনি অবশ্য বললেন, হেরে গেলে এমন ভাবনা মাথায় আসা স্বাভাবিক।
আরও পড়ুন-হাওড়ায় জোড়া সভা অভিষেকের, প্রস্তুতি বৈঠকে জেলা নেতৃত্ব
ম্যাচের আগে রাহুল বলেন, আমাদের কাছে ছবিটা পরিষ্কার। চারে যেতে গেলে সব ম্যাচ জিততে হবে। এতে সাহসী ক্রিকেট খেলতে হবে। আর কামিন্স বললেন, নিজেদের মাঠে খেলতে ভালই লাগে। আশা করি খেলার শেষে বাজি ফাটতে দেখা যাবে এখানে। পরে দেখা গেল শেষ হাসি তোলা ছিল বার্থ ডে বয়ের জন্য।
এদিন লখনউ ফিরিয়েছিল কুইন্টন ডি’কককে। কিন্তু তিনি সুবিধা করতে পারেননি। তৃতীয় ওভারে ভুবনেশ্বর কুমার তাঁকে ফিরিয়ে দেন ২ রানে। এরপর স্টয়নিসও (৩) ভূবির শিকার। পাওয়ার প্লে-তে লখনউয়ের রান দাঁড়িয়েছিল ২৭/২। বোঝা যাচ্ছিল লখনউ বড় রান করতে পারবে না।
শেষমেশ ২০ ওভারে ১৬৫/৪। স্লো উইকেটেও এই রান বেশ কম। রাহুল আউট ২৯ রানে। নিকোলাস পুরান (৪৮ নট আউট) ও আয়ুষ বাদোনি (৫৫ নট আউট) অসমাপ্ত জুটিতে ৯৯ রান তুললেও সেটা সানরাইজার্সের ঘরের মাঠে তাদের চ্যালেঞ্জ জানানোর জন্য যথেষ্ট ছিল না।