পুণে, ৫ জানুয়ারি : সূর্যকুমার যাদব, অক্ষর প্যাটেলের লড়াই কাজে এল না। পুণেতে ভারতকে ১৬ রানে হারিয়ে তিন ম্যাচের টি-২০ সিরিজে সমতা ফেরাল শ্রীলঙ্কা। সিরিজ ১-১। শনিবার রাজকোটে সিরিজ নির্ণায়ক ম্যাচ। ব্যাটে-বলে দাপট দেখিয়ে শ্রীলঙ্কার (Sri Lanka) জয়ের নায়ক অধিনায়ক দাসুন শনাকা।
শ্রীলঙ্কার (Sri Lanka) বিরুদ্ধে সিরিজ শুরুর আগে নিজেদের পরীক্ষার মুখে ফেলার কথা বলেছিলেন অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া। সেই কারণেই হয়তো এদিন টসে জিতে পুণের মহারাষ্ট্র ক্রিকেট সংস্থার মাঠে প্রথমে বল করার সিদ্ধান্ত নেন হার্দিক। যে মাঠে প্রথমে ব্যাট করে জয়ের সংখ্যা অনেক বেশি। সেই মাঠে রান তাড়া করে জিততে চেয়েছিলেন ভারতের টি-২০ ক্যাপ্টেন। কিন্তু বোলারদের ব্যর্থতায় পুণের ছোট মাঠে শ্রীলঙ্কা নির্ধারিত ২০ ওভারে তুলে ফেলে ২০৬ রান। জবাবে ১৯০ রানে থেমে যায় ভারতের ইনিংস। লঙ্কা অধিনায়ক দাসুন শনাকাও বলে দিলেন, টস জিতলে আগে ব্যাট করতেন।
২০৭ রান তাড়া করে ম্যাচ জিততে হলে শুরুর পাওয়ার প্লে-তে দ্রুত রান তুলতে হত ভারতকে। কিন্তু ৫৭ রানের মধ্যে ৫ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় মেন ইন ব্লু। দ্বিতীয় ওভারের মধ্যেই দুই ওপেনার ঈশান কিসান (২) ও শুভমন গিল (২) ডাগ আউটে ফেরেন। দেশের হয়ে অভিষেক ম্যাচ খেলতে নেমে ব্যর্থ রাহুল ত্রিপাঠী (৫)। অধিনায়ক হার্দিকের অবদান ১২ রান। দীপক হুডাও (৯) রান পাননি। এরপর ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে সূর্যকুমার যাদব ও অক্ষর প্যাটেলের পাল্টা প্রত্যাঘাত ভারতকেও লড়াইয়ে ফিরিয়ে জয়ের স্বপ্ন দেখাতে শুরু করেছিল। ১৬তম ওভারে সূর্য (৩৬ বলে ৫১) আউট হওয়ার পর শিবম মাভিকে নিয়ে একটা মরিয়া চেষ্টা করেছিলেন অক্ষর (৩১ বলে ৬৫)। তাঁকে যোগ্য সঙ্গত করছিলেন মাভি (১৫ বলে ২৬)। কিন্তু জয় অধরাই থেকে যায়। শেষ ওভারে দু’জনের উইকেট নিয়ে শ্রীলঙ্কাকে ১৬ রানে জয় এনে দেন অধিনায়ক শনাকা।
আরও পড়ুন-হুমকির মুখে শার্লি
ব্যাট হাতেও এদিন দাপুটে পারফরম্যান্স করেন লঙ্কা অধিনায়ক। দলের হয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলে যান শনাকা। দুই ওপেনার কুশল মেন্ডিস (৫২) ও পাথুম নিশঙ্কা (৩৩) শুরুটা করলেও শনাকার (২২ বলে অপরাজিত ৫৬) ঝোড়ো ইনিংসই শ্রীলঙ্কাকে ২০০ রানের গণ্ডি পার করে দেয়। কুমার সঙ্গাকারা ও মাহেলা জয়বর্ধনের রেকর্ড ভেঙে দেশের হয়ে দ্রুততম হাফসেঞ্চুরি (২০ বলে) করেন শনাকা। ম্যাচের সেরাও হলেন লঙ্কা অধিনায়ক।
ভারতীয় বোলারদের মধ্যে সব থেকে বেশি রান বিলিয়েছেন প্রথম ম্যাচে ৪ উইকেট নিয়ে ভারতের জয়ের নায়ক কেকেআরের প্রাক্তন পেসার শিবম মাভি। ৪ ওভারে দিলেন ৫৩ রান। ছন্দে থাকা মাভিকে পাওয়ার প্লে-তে দুই আক্রমণাত্মক ওপেনারের সামনে না এনে কেন ১২তম ওভারে প্রথম আনা হল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে। সুস্থ হয়ে অর্শদীপ সিং এদিন খেললেও ম্যাচের মধ্যে না থাকার খেসারত দিলেন পরপর নো বল করে। হার্দিক ভাল বল করলেও নিজের পুরো ওভার কোটা কেন শেষ করেননি, তিনিই জানেন। মাঝের ওভারগুলোতে দুই স্পিনার অক্ষর প্যাটেল (২ উইকেট) ও যুজবেন্দ্র চাহাল এবং স্পিডস্টার উমরা