পুরুলিয়ার প্রশাসনিক বৈঠক থেকে BLRO অফিসের সামনে দুটি দোকান নিয়ে প্রমাণ সহ অভিযোগ তুললেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই দুটি দোকান থেকে ব্লক ভূমি রাজস্ব অফিসের সমস্ত কাজ হচ্ছে টাকার বিনিময়ে। ঘুষ না দিলে সাধারণ গরিব মানুষদের কাজ হচ্ছে না। সোমবার পুরুলিয়ায়(Purulia) প্রশাসনিক বৈঠকে উপস্থিত হয়ে (Mamata Banerjee) এনিয়ে পুলিশকে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। অবিলম্বে এবিষয়ে তদন্ত করে তদন্ত রিপোর্টও জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন তিনি। আধিকারিকদের নির্দেশ দেন আদিবাসীদের গুরুত্ব দেওয়ার।
আরও পড়ুন-ঋতুপর্ণ ঘোষের প্রয়াণ দিবসে শ্রদ্ধার্ঘ্য মুখ্যমন্ত্রীর
এদিন প্রশাসনিক বৈঠকে ব্লক ভূমি রাজস্ব অফিসে গিয়ে ভুক্তভোগী বেশ কয়েকজনকে নিয়ে আসেন মুখ্যমন্ত্রী। তাদের এক এক করে জমি সংক্রান্ত একাধিক দরখাস্ত পড়ে শোনান মমতা। যেখানে দেখা যায়, তিন ভাইয়ের নামে মিউটেশন করতে গিয়ে দালাল চেয়েছে ৩০ হাজার টাকা। গরিব পরিবার, কৃষক বন্ধুর সুযোগ পাচ্ছি না। একথা উল্লেখ করে নালিশ জানিয়েছিল পুরুলিয়ার এক পরিবার। এরকম একাধিক দরখাস্ত তুলে ধরেন তিনি। তারপরই দেন কড়া হুঁশিয়ারি। বলেন, “কেউ যদি এই পরিবারকে কেউ ধমকায়, চমকায় আমি তাকে প্রথমেই গ্রেফতার করে ঢুকিয়ে দেব। সে যেই হোক। এই কেসগুলি তুলে আনার উদ্দেশ্য হল সমাধানটা কী হবে?”
জেলার আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না অভিযোগ তুলে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “বেশিরভাগ সময়ই আদিবাসীদের গুরুত্ব দেওয়া হয় না।আদিবাসীদের অনেকেরই অভিযোগ, তারা ঠিক করে পড়াশোনা করতে পারে না। এমনকী, জমি মিউটেশন করতে গেলে তাদের হেনস্থা করা হচ্ছে। এনিয়ে অনেক অভিযোগ পেয়েছি। এই বিষয়গুলি দেখে নিতে হবে। আদাবাসীদের গুরুত্ব দিতে হবে। আদিবাসীদের জায়গা কেউ নিতে পারবে না। এটা আইন বিরুদ্ধ। আদিবাসীদের জমি যদি কেউ নেয় তাহলে BLRO-নামে এফআইআর হবে।” পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “পলিটিকাল লোকেদের বিরুদ্ধে বদনামটা বেশি রটে। কিন্তু যাঁরা সরকারের কাজটা করে মানুষের কাছে পৌঁছে দেবেন তাঁদের তো ভালো ফেস নিয়ে কাজটা করতে হবে। তবেই তো সুনাম থাকবে। দুর্নামের সঙ্গে কাজ করাটা আমাদের কারওই প্রত্যাশিত নয়। কেউ ভুলভ্রান্তি করে থাকলে বলরামপুরের যারা আছেন তাঁরা শুধরে নেবেন। আর বদনাম করার জন্য কেউ কিছু করে থাকলে আপনারা তার বিরুদ্ধে এফআইআর করুন।”