প্রতিবেদন : বাম জমানায় হয়নি। তার আগেও হয়নি। করে দেখালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার আনুষ্ঠানিকভাবে তাজপুর বন্দর নির্মাণের দায়িত্ব আদানি গোষ্ঠীর হাতে তুলে দেওয়া হল রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে। এই উদ্যোগ নিঃসন্দেহে বাংলার শিল্পের ক্ষেত্রে একটি মাইলস্টোন। এই বন্দর নির্মাণ শেষ হলে শুধু যে পণ্য পরিবহণে বিরাট সুবিধা হবে আগামিদিনে তাই নয়, এই বন্দরকে কেন্দ্র করে কর্মসংস্থানেরও বিরাট দরজা খুলে যাবে। বুধবার ইকো পার্কের মিষ্টিকায় (যার নামকরণ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী) (Mistika Banquet) বিজয়া সম্মিলনী অনুষ্ঠানের ফাঁকে মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতে আদানি গোষ্ঠীর অন্যতম কর্ণধার করণ আদানির হাতে লেটার অফ ইনটেন্ট বা আগ্রহপত্র তুলে দিলেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। ছিলেন শিল্পমন্ত্রী শশী পাঁজা এবং শিল্পসচিব বন্দনা যাদব।
আরও পড়ুন-এসএসসির নিয়োগ-নোটিশ ১৪ নভেম্বর, উৎসাহ সর্বত্র
মাস কয়েক আগেই রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় তাজপুর বন্দর আদানি গোষ্ঠীর হাতে দেওয়া হবে। তারপর বেশকিছু বৈঠক হয়। তারপরেই বিজয়া সম্মিলনীর (Mistika Banquet- Vijaya Sammilani) শুভমুহূর্তকে সামনে রেখে আগ্রহপত্র দেওয়া হল করণ আদানির হাতে। ২৫ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ হবে এই প্রকল্পে। নির্মাণ শেষ হলে প্রায় ৫০ হাজারের বেশি কর্মসংস্থান হবে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্যে শিল্প হচ্ছে। জঙ্গলমহলকে কেন্দ্র করে ৭২ হাজার কোটি বিনিয়োগ হচ্ছে। এবারের দুর্গাপুজোয় ৫০ হাজার কোটির ব্যবসা হয়েছে। রাজনীতি ভাল জিনিস। মানুষের জন্য হওয়া উচিত। নেতিবাচক রাজনীতি ভাল নয়। বিরোধীদেরও বিজয়ার শুভেচ্ছা জানাই। তাদের সুস্থতা কামনা করি। মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী বলেন, আজ আনন্দের দিন। আগ্রহপত্র দেওয়া হল করন আদানিকে। তাজপুর বন্দর নিয়ে অনেক কাজ হচ্ছে।