তৃতীয়বার ক্ষমতায় এসেই দুয়ারে রেশন (Duare Ration) প্রকল্প চালু করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Bandopadhyay)। কিন্তু সমস্যা হল ভালো কাজে বাধা দেওয়ার লোকের অভাব নেই। মানুষের উন্নয়ন ও সুবিধার্থে চালু হওয়া এই প্রকল্পটি বন্ধ করার জন্য ক্রমাগত চেষ্টা চালিয়েই যাচ্ছে বিরোধীরা। পাইলট প্রকল্প শুরু হওয়ার পরেই তার বিরোধিতা করে মামলা দায়ের হয়। এই প্রকল্প বন্ধ করে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না। মুখ পুড়েছে চক্রান্তকারীদের। দুয়ারে রেশন প্রকল্প বন্ধের পিটিশন খারিজ করে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট (Kolkata High Court)।
আরও পড়ুন-কুণালকে তোপ শুভেন্দুর, সঙ্গে সঙ্গে পাল্টা
বিরোধীদের উস্কানিতে কিছু রেশন ডিলার দুয়ারে রেশন প্রকল্পটির বিরোধিতা করে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। তাঁদের অভিযোগ ছিল, প্রকল্পটি চালু করার পরিকাঠামো রাজ্যের নেই। শুধু তাই নয় এটি সংবিধান বিরোধী বলেও অভিযোগ করা হয়েছিল পিটিশনে কিন্তু হাইকোর্ট সেই পিটিশন খারিজ করে দিয়েছে শুধু তাই নয় স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে এটি কোনোভাবেই সংবিধানের কোন ধারা কে লংঘন করছে না।
আরও পড়ুন-বাংলা ভাষাতেও এবার বিদ্যুৎ বিল
শুধু তাই নয়, কলকাতা হাইকোর্টের তরফ থেকে স্পষ্ট বলা হয়েছে রাজ্য সরকারের দুয়ারে রেশন প্রকল্প গণবণ্টন ব্যবস্থার ক্ষেত্রে একটি বড় পরিবর্তন নিয়ে আসছে। এটি মানুষের কাছে খাদ্য নিরাপত্তা দেওয়ার ক্ষেত্রে একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ।
আরও পড়ুন-মতুয়াদের অবহেলা, হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছাড়লেন ৫ বিধায়ক
দুয়ারে সরকার, পাড়ায় পাড়ায় সমাধানের পর দুয়ারে রেশন মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের প্রকল্প। এর ফলে বাংলার মানুষ অত্যন্ত সুবিধাজনক উপায় রেশন পাবেন। ভোটের আগে যে প্রতিশ্রুতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিয়েছিলেন, মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার পরে তা অক্ষরে অক্ষরে পালন করছেন। এতে বাংলার মানুষের কাছে তাঁর জনপ্রিয়তা আরও বেড়ে গিয়েছে। কলকাতা পুরভোটের ফলই তার প্রমাণ। সেই কারণে সামাজিক উন্নয়নমূলক প্রকল্পের বাধা দিয়ে শাসকদলকে চাপে ফেলতে চাইছে বিরোধীরা। কিন্তু বারবার আদালতের দ্বারস্থ হয়েও সুবিধে হচ্ছে না; মুখ পুড়ছে ষড়যন্ত্রকারীদের।