প্রতিবেদন : রাজ্য সরকার বিভিন্ন জেলার আরও ৭১৪টি প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ই প্রেসক্রিপশন চালু করছে। এর আগে রাজ্যের ১৪৪টি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পাইলট প্রোজেক্ট হিসেবে ই প্রেসক্রিপশন চালু করা হয়েছিল। রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর প্রথম পর্যায়ে ৯০০টি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রকে ই প্রেসক্রিপশন চালুর জন্য বেছে নিয়েছে। এজন্য সংশ্লিষ্ট স্বাস্থ্যকেন্দ্রের কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার কাজও শেষ হয়েছে।
আরও পড়ুন-শৌচ-বর্জ্য ব্যবস্থাপনার কাজ শুরু আমতায়
এই প্রক্রিয়ার উপর নজরদারি চালাতে জেলা স্বাস্থ্য অধিকর্তাদের একজন করে নোডাল অফিসার নিয়োগ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, গত পয়লা জুলাই থেকে রাজ্য সরকারি স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় চিরাচরিতভাবে হাতে লেখা প্রেসক্রিপশনের বদলে বাধ্যতামূলকভাবে ই প্রেসক্রিপশন চালু করা হয়েছে। রাজ্যের সমস্ত সরকারি হাসপাতালে ধাপে ধাপে ই প্রেসক্রিপশন চালু হচ্ছে। স্বাস্থ্য ভবন সূত্রের খবর, রাজ্যের সব মেডিক্যাল কলেজের অন্তত দুটি বিভাগে এই ই-প্রেসক্রিপশন চালু করার লক্ষ্যে এগনো হচ্ছে। সব হাসপাতালকে এ-সংক্রান্ত যাবতীয় প্রস্তুতি সেরে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন-শিশুদের অপুষ্টি কমেছে বাংলায়
রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তের ফলে সাধারণ রোগীরা উপকৃত হবেন বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ চিকিৎসকদের হাতের লেখা বুঝতে না পারায় ওষুধ দোকান থেকে অতীতে ভুল ওষুধ দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। যার ফলে বহু রোগীর প্রাণহানি হয়েছে। ই প্রেসক্রিপশন চালু হলে হাতের লেখা জনিত সমস্যা থেকে রেহাই মিলবে। স্বাস্থ্যকর্তারা জানান, একটি বিশেষ সফটওয়্যার ব্যবহার করে দ্রুত ই-প্রেসক্রিপশন প্রস্তুত করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই সেই সফটওয়্যার ব্যবহার করে ই-প্রেসক্রিপশন দেওয়া হচ্ছে মাল ও বিধাননগর মহকুমা হাসপাতালে। বিদ্যাসাগর স্টেট জেনারেল হাসপাতাল এবং হাওড়ার বেশ কয়েকটি গ্রামীণ ও ব্লক হাসপাতাল এবং পিজি ও মেডিক্যাল কলেজের গ্যাস্ট্রো-এন্টেরোলজি বিভাগে ই প্রেসক্রিপশন চালু হয়েছে। দেড় বছর ধরে এই প্রকল্প সাফল্যের সঙ্গে চলার পরই রাজ্যজুড়ে এই প্রযুক্তির বিস্তার ঘটানো হচ্ছে