প্রতিবেদন : খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ জানিয়েছেন, রাজ্য সরকারের বিনামূল্যে রেশন ব্যবস্থা চালু রয়েছে এবং সেটা চালু থাকবে। এর জন্য রাজ্য সরকারের বরাদ্দ যা রয়েছে তার থেকে অতিরিক্ত কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে যা দেওয়া হচ্ছিল, সেটা ওরা বন্ধ করেছে। গরিব কল্যাণের নামে সাময়িকভাবে মানুষকে সুবিধা দিয়ে হঠাৎ করে বন্ধ করে দেওয়ার কারণ জানা নেই। করোনা পরিস্থিতি এখনও চলে যায়নি। কেন বন্ধ করলেন ওঁরাই ভাল জানবেন। তবে রাজ্য সরকারের খাদ্যসাথীর মাধ্যমে যে রেশন ব্যবস্থা রয়েছে তাতে মানুষকে বিনামূল্যে রেশন দেওয়া হচ্ছে। প্রসঙ্গত, দেশজুড়ে লকডাউনের পর গত বছর মার্চে কেন্দ্রের তরফে প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ যোজনা ঘোষণা করা হয়।
আরও পড়ুন : গুজরাট উপকূলে পাক গুলিতে নিহত মৎস্যজীবী, অপহৃত ৬
৩০ নভেম্বর পর্যন্ত সেই মেয়াদ বাড়ানো হয়েছিল। কেন্দ্রের দাবি, দেশের খাদ্য সুরক্ষা মিশনের অধীনে থাকা ৮০ কোটি মানুষ এই প্রকল্পের সুবিধা পেয়েছেন। এবার এই প্রকল্প বন্ধ করতে চলেছে কেন্দ্র। যদিও একাধিক রাজ্য তাদের নিজেদের খরচে এই প্রকল্প চালিয়ে নিয়ে যাবে বলে ঘোষণা করেছে। বাংলায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই ঘোষণা করেছেন যে বিনামূল্যে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ‘দুয়ারে রেশন’ প্রকল্প চালু করা হবে এরাজ্যে। খাদ্য দফতরে নির্দেশিকা অনুযায়ী, কবে কোথায় দুয়ারে রেশন প্রকল্প হবে, তা পূর্ব নির্ধারিত থাকবে। পূর্বনির্ধারিত দিনে নির্দিষ্ট কোনও পাড়া, গ্রাম বা পল্লিতে খাদ্যশস্য, ই-পস এবং ওজন করার মেশিন নিয়ে হাজির হবেন রেশন ডিলাররা। উপভোক্তাদের প্রাপ্য চাল, গম, চিনি একবারেই দিতে হবে। একই পরিবারের যেকোনও সদস্যই ই-পস যন্ত্রে বায়োমেট্রিক বা আধার কার্ডের প্রমাণ দিয়ে দুয়ারে রেশনে থাকা পুরো পরিবারের প্রাপ্য খাদ্যশস্য বাড়িতে পেতে পারেন। যদি কোনও কারণে সেই রেশন গ্রহণ করতে না পারেন, পরে সরাসরি রেশন দোকানে গিয়ে নিয়ে আসার সুযোগ থাকবে। দুয়ারে রেশন প্রকল্পে উপভোক্তা পরিবারগুলিকে ১৬টি ক্লাস্টারে ভাগ করা হবে। প্রতি ক্লাস্টারে বিতরণের জন্য প্রতিমাসের একটি নির্দিষ্ট দিন থাকবে। মাসের প্রথম থেকে চতুর্থ সপ্তাহ পর্যন্ত মঙ্গলবার, বুধবার, শুক্রবার দুয়ারে রেশন পৌছবে। শনিবার সরাসরি রেশন দোকান থেকে রেশন দেওয়া হবে। ছুটি, আবহাওয়া বা অন্য কোনও কারণে যদি দুয়ারে রেশন বন্ধ থাকে সেক্ষেত্রে প্রাপকরা রবিবারের দ্বিতীয়ার্ধে তা পেয়ে যাবেন।